এক মাসেরও বেশি সময় পর ভুটান থেকে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের নারী জাতীয় দলের পাঁচ ফুটবলার। শনিবার সকালে ঢাকায় পা রেখেছেন মারিয়া মান্ডা, মনিকা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমা, রূপনা চাকমা ও শামসুন্নাহার সিনিয়র। ফিরেই তাঁরা আবার যোগ দিচ্ছেন হেড কোচ পিটার বাটলারের অনুশীলন ক্যাম্পে—যা হচ্ছে জর্ডান সফর ও এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাই পর্ব সামনে রেখে।
ভুটানে ‘বিওবি ন্যাশনাল উইমেন্স লিগ’ খেলতে গিয়েছিলেন তাঁরা, কিন্তু নানা জটিলতায় টুর্নামেন্ট শুরুই হয় দেরিতে—১০ মে। ফলে ক্লাবের সঙ্গে দীর্ঘদিন অনুশীলন করলেও মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র একবার।
মারিয়া ও রূপনা যাওয়ার আগে বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে পাঁচ দিন অংশ নিয়েছিলেন। অন্য তিনজন—মনিকা, ঋতুপর্ণা ও শামসুন্নাহার—৬ এপ্রিলেই ভুটান রওনা দিয়েছিলেন।
জাতীয় দলের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, এই পাঁচজন রোববার থেকে অনুশীলনে ফিরবেন ৪১ জনের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে। এই ক্যাম্প থেকেই বাছাই হবে ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত দল, যারা ২৭ মে উড়াল দেবে জর্ডানের উদ্দেশে। সেখানেই ৩১ মে মুখোমুখি হবে স্বাগতিকদের, এরপর ৩ জুন খেলবে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে—এশিয়ান কাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই।
তবে দল নিয়ে এখনই স্বস্তিতে নেই কোচিং স্টাফ। ক্যাম্পে থাকা তিন ফুটবলার—সুরমা জান্নাত, স্বর্ণা রাণী ও আকলিমা খাতুন ইনজুরিতে ভুগছেন। তাঁদের জর্ডান সফরের যোগ্যতা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকছে।
এদিকে ভুটানে খেলা দলের আরও পাঁচ সিনিয়র ফুটবলার—সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার, সানজিদা আখতার, মাতসুশিমা সুমাইয়া ও মাসুরা পারভিন—তালিকায় নেই। যদিও সাবিনা-কৃষ্ণারা সেখানে গোলের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন, তবু তাদের ফর্ম ও ফিটনেস নিয়ে সংশয়ে আছেন কোচ বাটলার।
শেষ পর্যন্ত কারা থাকছেন ২৩ জনের সেই চূড়ান্ত দলে, তা জানা যাবে কয়েক দিনের মধ্যেই। আপাতত বাছাইয়ের লড়াইটা চলছে ঘাম ঝরিয়ে—জর্ডান ও মিয়ানমার মিশনের আগে।