চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সংঘর্ষের ঘটনার প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর ৯৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮০০ থেকে এক হাজার জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার নগরীর হাটহাজারী থানায় এই মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তরের প্রধান আব্দুর রহিম।
মামলার বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ৯৮ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮০০ থেকে এক হাজার জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের কার্যক্রম চলছে।’
শিক্ষার্থীদের কষ্টে ভীষণভাবে ব্যথিত জানিয়ে এই শিক্ষক বলেন, ‘এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য যা যা করা দরকার সেই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছি। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তর থেকে অস্ত্র লুটের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।’
‘শিক্ষার্থীদের যত দ্রুত সম্ভব ক্লাসে ফিরে যেতে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাভাবিক করার জন্য আমাদের সাথে এগিয়ে আসতে বলা হচ্ছে’।
এর আগে, শনিবার রাতে এক নারী শিক্ষার্থীকে ভাড়া বাসার দারোয়ান হেনস্তা করেছে বলে অভিযোগ উঠে। এ ঘটনার জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ওই রাতেই সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে এরপরও সোমবার দিনভর স্থানীদের সঙ্গে চবি শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে দেড় হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের মধ্যে দুই শিক্ষার্থীকে নগরীর বেসরকারি একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ১১৪ আহত শিক্ষার্থীর মধ্যে ১১১ জন ছাত্রপত্র পেয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। ক্যাম্পাস এলাকায় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।