টানা চারদিন ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বন্ধ রয়েছে চিকিৎসাসেবা। জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে কর্মচারীদের সংঘর্ষের জেরে হাসপাতালে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সারাদেশ থেকে আসা শত শত রোগী পড়েছেন বিপাকে। এ অবস্থায় শনিবার রাতে এক তথ্যবিবরণীতে রোগীদের অন্য হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে চিকিৎসাসেবা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। চিকিৎসাসেবার ‘অনুকূল পরিবেশ’ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত হাসপাতাল চালু হচ্ছে না।
শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এক তথ্যবিবরণীর মাধ্যমে সকল রোগীর প্রতি আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে চক্ষু চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এমন রোগীদের নিকটস্থ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে চিকিৎসাসেবা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে তাতে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানায়, ‘জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসক-সহ অন্যান্য সেবাদানকারীগণ গত ২৯ মে হাসপাতাল অভ্যন্তরে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সকল সেবাদানকারী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বিধায় গত ২৯ মে থেকে উক্ত হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।’
‘এ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি অধিকাংশ রোগী হাসপাতাল ত্যাগ করেন। বর্তমানে কেবল জুলাই যোদ্ধাগণই হাসপাতালে অবস্থান করছেন। সকল সেবা বন্ধ থাকলেও, জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের লক্ষ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের পথ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সারাদেশ থেকে আগত চক্ষু রোগীদের চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সেবাবঞ্চিত সকল রোগীর প্রতি আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করা হচ্ছে।’
তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, ‘অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে একটি প্রতিনিধিদল প্রেরণ করা হয়েছে। প্রতিনিধিদল আহতদের সঙ্গে এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ অন্যান্য সেবাদানকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা করছেন। এই মুহূর্তে আলোচনার একটি ইতিবাচক ফলাফল প্রত্যাশা করা যাচ্ছে। চিকিৎসাসেবার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত হলেই উক্ত হাসপাতালে সকল ধরনের চিকিৎসা সেবা পুনরায় চালু করার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
‘এই সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে চক্ষু চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, এমন রোগীদের নিকটস্থ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে চিকিৎসাসেবা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’