বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে প্রত্যাবর্তন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, মঙ্গলবার সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা ও উপস্থিতি জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিশ্বাস করি, তার ফিরে আসার মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সহজ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (খালেদা) দেশে ফিরে একটি বৈষম্যহীন পরিবেশ গড়ে তুলে জাতিকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবেন বলে আমরা আশাবাদী।’
প্রায় চার মাস পর লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা শেষে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়া সোমবার সকালে দেশে ফেরেন। তার সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ জোবায়দা রহমান ও শর্মিলা রহমান।
সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বিমানটি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিএনপির সিনিয়র নেতারা সকাল ৮টা ৪০ মিনিটেই বিমানবন্দরে পৌঁছান তাকে গ্রহণ করতে।
ফখরুল বলেন, ‘একটি ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে দীর্ঘ দমন-পীড়নের শিকার হয়েছেন খালেদা জিয়া। পরে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে অনুমতি পান। আজ প্রায় চার মাস চিকিৎসা শেষে তিনি ফিরেছেন—এটি আমাদের ও জনগণের জন্য আনন্দের দিন।’
খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ ঘিরে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে কেবলমাত্র সীমিত সংখ্যক মানুষকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
৮ জানুয়ারি লন্ডনে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। প্রথম ১৭ দিন তিনি ‘লন্ডন ক্লিনিক’ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং পরে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন।
সকাল থেকেই বিমানবন্দর থেকে গুলশান সড়কজুড়ে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে হাজার হাজার বিএনপির নেতাকর্মী ভিড় করেন। তারা জাতীয় ও দলীয় পতাকা উঁচিয়ে নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।