ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে রিকশাচালক আজিজুর রহমানকে কিসের ভিত্তিতে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার ব্যাখ্যা চেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে এই ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
রোববার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গত শুক্রবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে তার বাসভবনে শ্রদ্ধা জানাতে যান ওই রিকশাচালক। সেখানে তিনি গণপিটুনির শিকার হন। পরে তাকে ধানমন্ডি থানায় সোপর্দ করা হয়।
শনিবার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন ধানমন্ডি থানার এসআই মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান। যে মামলায় তাকে আদালতে তোলা হয়েছে সেটি করা হয়েছিল গত ২ এপ্রিল, আরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি যার বাদী।
আজিজুরকে পিটুনি, পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া, তার গ্রেপ্তার, প্রিজন ভ্যানে তোলাসহ বিভিন্ন সময়ে ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
এই প্রেক্ষাপটে এল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতি।
যেখানে বলা হয়, ‘রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ থেকে আটক রিকশাচালক জনাব মো. আজিজুর রহমানকে কীসের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসেবে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানতে চেয়ে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে।’
একই সঙ্গে ওই পুলিশ কর্মকর্তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যে কোনো অসঙ্গতি রয়েছে কিনা তা ঢাকা মহানগর পুলিশ খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মামলায় জনাব আজিজুর রহমানের সম্পৃক্ততা তদন্ত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সম্প্রতি সংশোধিত সিআরপিসির ১৭৩(এ) ধারা মোতাবেক অতিসত্বর প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এছাড়া একই দিন জামিন পেয়েছেন আজিজুর। ঢাকার মুখ্যা মহানগর হাকিম আদালত দুপুরে তার জামিন আদেশ দিয়েছেন।