কয়েকটি দল মুক্তিযুদ্ধকে পেছনে ঠেলে দিতে চায়: হাফিজ উদ্দিন

টাইমস রিপোর্ট
3 Min Read
জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় কথা বলছেন বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। ছবি : টাইমস
Highlights
  • ‘তবে কয়েকজন উপদেষ্টা দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকার খায়েশ ব্যক্ত করেছেন, যা কখনো কাম্য নয়। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা ও নির্বাচন কমিশনের ওপর আমাদের আস্থা আছে। আশা করি তারা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেবেন।’

অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে চান বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। একই সঙ্গে কয়েকজন উপদেষ্টা ও কয়েকটি দলের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকে পেছনে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টারও অভিযোগ করেন এই মুক্তিযোদ্ধা।

শুক্রবার ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির এই নেতা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অগ্নিসেনা সোশ্যাল ফাউন্ডেশন ও আমাদের নতুন বাংলাদশ নামে দুটি সংগঠন এই আলোচনার আয়োজন করে।

প্রধান উপদেষ্টা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবেন এমন আশা প্রকাশ করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘তবে কয়েকজন উপদেষ্টা দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকার খায়েশ ব্যক্ত করেছেন, যা কখনো কাম্য নয়। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা ও নির্বাচন কমিশনের ওপর আমাদের আস্থা আছে। আশা করি তারা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেবেন।’

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে টালবাহানাকারীদের বিষয়ে সতর্ক করে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘কয়েকজন উপদেষ্টা ও কয়েকটি দল মুক্তিযুদ্ধকে পেছনে ঠেলে দিতে চায়। একটি দল বলেছে, একাত্তরে নাকি জাতি পথভ্রষ্ট ছিল। তাদের কথা শুনে অবাক হয়েছি। তাদের বলতে চাই, মুক্তিযুদ্ধ ছিল এদেশের মানুষের জনযুদ্ধ। সবচেয়ে গৌরবজনক অধ্যায়।’

‘যারা এখন বলছে যে জুলাই ঘোষণাপত্রে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, তারা পাকিস্তান আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল। তারাই আবার এসব বলে।’

এসময় পুলিশ বাহিনীর সংস্কার নিয়েও কথা বলেন হাফিজ উদ্দিন। শেখ হাসিনার দীর্ঘ শাসনামলে দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ভেবেছিলাম পুলিশে সংস্কার হবে। কিন্তু গত এক বছরে অন্তবর্তী সরকার পুলিশে কোনো সংস্কার করেনি। এই পুলিশ বাহিনী নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে।’

নির্বাচনে পিআর পদ্ধতির ব্যবহারে দাবি ওঠার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে, তারা পিআর সিস্টেমের এর কথা বলে। আজব আজব থিউরি দিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা কাম্য নয়। জনগণ ও নির্বাচনের ওপর আস্থা না থাকলে তারা কীভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবেন?’

আলোচনায় অংশ নিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘যে রাষ্ট্র ব্যবস্থা ন্যায় বিচার দিতে পারে না, সেই রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। যারাই ক্ষমতায় যায়, তারাই স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের এই শাসন ব্যবস্থা বদলাতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদের সহসভাপতি গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী আলাল, অগ্নিসেনা সোশ্যাল ফাউন্ডেশনের সভাপতি তালুকদার জহিরুল হক তুহিনসহ অন্যরা।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *