চীনের পণ্যে সর্বোচ্চ ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে নতুন করে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং। শুক্রবার চীনের অর্থমন্ত্রী এক বিবৃতিতে জানান, শনিবার (১২ এপ্রিল) থেকে তাদের এই নতুন শুল্ক কার্যকর হবে।
বার্তা সংস্থা এপি জানায়, এর আগে, চীন গত বুধবারও (৯ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ৮৪ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছিল। তখন বেইজিং জানায়, তারা আর কোনো পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে না। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যে সর্বোচ্চ হারে শুল্ক বসানোর পর, আবারও পাল্টা ব্যবস্থা নিল চীন।
চীনা কর্তৃপক্ষ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত অস্বাভাবিক উচ্চ শুল্ক আন্তর্জাতিক বাণিজ্যনীতি, মৌলিক অর্থনীতির নীতি এবং ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। বেইজিংয়ের ভাষায়, এ ধরনের পদক্ষেপ ‘একতরফা গুন্ডামি ও জবরদস্তিমূলক আচরণ’।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি তিন মাসের জন্য অধিকাংশ দেশের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক স্থগিত করলেও চীনের ক্ষেত্রে সেই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হয়নি। বরং বৃহস্পতিবার থেকে চীনের প্রায় সব পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশটির সঙ্গে চীনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছিল ৫৮২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। তবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) সতর্ক করেছে, চলমান শুল্কযুদ্ধের ফলে দুই দেশের মধ্যে পণ্যবাণিজ্য ৮০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে।
বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির এই বাণিজ্যযুদ্ধ এখন আরও জটিল মোড় নিচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসন চীনের নতুন পদক্ষেপের জবাবে কী প্রতিক্রিয়া জানায়, সেটাই এখন বিশ্ব অর্থনীতির পর্যবেক্ষকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।