বাংলাদেশের পাসপোর্টের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার অজুহাতে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ শব্দ দুটি তুলে দেওয়া হয়েছিল ৪ বছর আগে, তা পুনর্বহাল করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ থেকে রোববার প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব নীলিমা আফরোজ এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, পাসপোর্টে নতুন করে ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল ’ বিষয়টি বহাল করা হয়েছে। এ নিয়ে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে।
শনিবার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশের কর্মসূচি ‘মার্চ ফর গাজা’র ঘোষণাপত্রে বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’ (ইসরাইল ব্যতীত) লেখাটি আবারও উল্লেখ করার দাবি জানানো হয়েছিল। একদিন পার না হতেই এ দাবির সমর্থনে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
এর আগে ২০২১ সালে এক সরকারি সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল ’ শব্দ বাদ দেয়া হয়। তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক আগে যে রকম ছিল, এখনো তাই থাকবে। তবে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে আমরা পাসপোর্টে এক্সসেপ্ট ইসরায়েল শব্দ দুটি তুলে দিচ্ছি।’
আট দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যে জিইয়ে থাকা ফিলিস্তিন-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনিদের অধিকার, স্বাধীনতা ও মুক্তির পক্ষে। ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতিদানকারী বিশ্বের ১৩৭ রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশ এখনো ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি, ফলে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই। বরং ফিলিস্তিনকে দূতাবাস করতে ঢাকায় জায়গা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের ইস্যুকৃত পাসপোর্টের প্রথম পৃষ্ঠায় লেখা ছিল ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’। ২০২১ সালের মে মাসে নতুন ইস্যু করা ই-পাসপোর্ট ও মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট নবায়নের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। তখন নতুন ই-পাসপোর্টে লেখা হয়- ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’। এখানে ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ শব্দ দুটি ফেলে দেয়া হয়। ৪ বছর পর সেটি আবারও যোগ হচ্ছে।
ফলে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী কোনো ব্যক্তি শুধু ইসরায়েল ব্যতিরেকে বিশ্বের যে কোনো দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন।