প্লেসমেন্ট শেয়ার নিয়ে তার বিপরীতে কোনো অর্থ পরিশোধ করেনি একমি পেস্টিসাইড লিমিটেডের চেয়ারম্যানসহ পরিচালনা পর্ষদের চার সদস্য। তাদের সঙ্গে আছেন ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানও।
এদের প্রত্যেকর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
এছাড়া প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) প্রসপেক্টাসে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় ইস্যু ব্যবস্থাপক কোম্পানি শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্তও নিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বুধবার কমিশনের ৯৭৩-তম সভায় এসব সুপারিশ করা হয়।
বিএসইসির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্লেসমেন্ট শেয়ার নিয়েও অর্থ পরিশোধ করেননি একমি পেস্টিসাইডের পর্ষদের চার সদস্য। যার কারণে চার পরিচালকসহ মতিউরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) জানানো হবে।
একমি পেস্টিসাইড লিমিটেডে অনুসন্ধান চালিয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোম্পানির প্লেসমেন্ট শেয়ার নিয়েও টাকা পরিশোধ না করা পরিচালকরা হলেন- চেয়ারম্যান শান্তা সিনহা, ব্যবস্থাপনার পরিচালক রেজা-উর রহমান সিনহা, পরিচালক আহসান হাবিব সিনহা ও পরিচালক কে এম হেলোয়ার।
তাদের সঙ্গে আরো যে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান জড়িত তারা হলেন-মো. আফজাল হোসাইন, এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউর রহমান, বিক্রমপুর পটেটো ফ্লাকেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, তফাজ্জল হোসাইন ফরহাদ, জাভেদ এ মতিন, বেঙ্গল অ্যাসেস হোল্ডিংস লিমিটেড, চিটাগং পেস্টিসাইড অ্যান্ড ফিসারিজ লিমিটেড, হেরিটেজ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, আনজুমারা বেগম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সরোয়ার, তৌহিদা আক্তার, মো. রুহুল আজাদ এবং রানু ইসলাম।
এরা শেয়ারের বিপরীতে কোনো অর্থ পরিশোধ না করায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রতিবেদনটি দুদকে পাঠানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছে দুদক।
তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি একমি পেস্টিসাইড লিমিটেডের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা (সিএফও) সেলিম রেজা।
প্রসপেক্টাসে মিথ্যা তথ্য দাখিল করার বিষয়ে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম টাইম অব বাংলাদেশেকে বলেন, ‘ইস্যু ব্যবস্থাপক কোম্পানি শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের নিবন্ধন সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, সবশেষ নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছে কমিশন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রি-আইপিওকালীন কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে বাস্তব আর্থিক তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে নিরীক্ষক সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং। যার কারণে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলকে (এফআরসি) জানানো হবে।’