ঈদুল আজহার ১০ দিনের ছুটি শেষ হচ্ছে রোববার। ৫ জুনের পর খুলছে সরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
এরই মধ্যে গ্রামের বাড়িতে প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে রেল, সড়ক ও নৌপথে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। গত দু-তিন দিন ধরে সদরঘাট, বাস ও রেল স্টেশনে দেখা যাচ্ছে রাজধানীতে ফেরা মানুষের ভিড়।
যে সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী দূর-দূরান্তে ঈদ উদযাপন করতে গেছেন তারা শনিবারের মধ্যেই রাজধানীতে এসে পৌঁছবেন। তবে রাজধানী এখনো তার পুরোনো রূপে ফেরেনি।
ঈদের পরে প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়সহ সরকারি অফিসগুলোতে ঈদের আমেজ বিরাজ করে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রথমে ৫ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ছয় দিন ছুটি দিয়েছিল সরকার। পরে ১১ ও ১২ জুন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) নির্বাহী আদেশের ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে এবার ঈদুল আজহায় ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি পেয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
প্রথমবারের মতো টানা ১০ দিনের ছুটি দিতে এরই মধ্যে গত ১৭ ও ২৪ মে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অফিস খোলা রেখেছিল সরকার।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট দিয়ে ঢাকায় ফিরছে মানুষ। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যাত্রী পারাপারে বর্তমানে ১৫টি ফেরি ও ১৮টি লঞ্চ চলাচল করছে।
বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে করে রাজবাড়ির দৌলতদিয়া ফেরিঘাট হয়ে পাটুরিয়াঘাটে আসছেন যাত্রীরা। সবচেয়ে বেশি আসছেন মোটরসাইকেলের যাত্রী। লঞ্চঘাটও যাত্রীতে ভরপুর।
আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটেও যাত্রীর চাপ বেড়েছে। জানা গেছে, পাবনার কাজিরহাট থেকে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোটে করে আরিচাঘাটে আসছেন যাত্রীরা।
সদরঘাটের লঞ্চ টার্মিনালে দেখা গেছে, বরিশাল,পটুয়াখালী ও ভোলা থেকে ঢাকা ফিরছে সাধারণ মানুষ ও কর্মজীবীরা। অতিরিক্ত ভিড় না থাকলেও অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন মানুষের চাপ অনেকটা বেড়েছে।
সায়েদাবাদ-গাবতলী এলাকায় দেখা গেছে, এদিন যাত্রীদের চাপ কিছুটা বেশি। যাত্রীরা স্বস্তিতেই ঢাকা ফিরছেন।। যাত্রীরা জানান, স্বস্তিতেই তারা ফিরতে পেরেছেন। সড়কেও ছিল না ভোগান্তি।