বাংলাদেশে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠা হেলথ কেয়ার ব্র্যান্ড প্রাভা হেলথ গর্বের সঙ্গে তাদের অষ্টম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন করছে। আস্থা, উদ্ভাবন ও সহমর্মিতার মাধ্যমে প্রায় এক দশক ধরে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ এবং একটি সুস্থ বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজ করে চলেছে তারা।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রাভা বাংলাদেশে ফ্যামিলি মেডিসিন ধারণার পথপ্রদর্শক। একই ছাদের নিচে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার এ মডেল রোগীকেন্দ্রিক সেবার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করে প্রাভা হেলথ আজ আধুনিক স্বাস্থ্যসেবার রূপান্তরে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছে।
প্রাভার সিইও মো. আব্দুল মতিন ইমন বলেন, ‘এই বর্ষপূর্তি আস্থার উদযাপন। আট বছরে আশি লাখের বেশি রোগী প্রাভাকে স্বাস্থ্যসেবা পার্টনার হিসেবে বেছে নিয়েছেন। আমাদের লক্ষ্য- স্বাস্থ্যসেবা যেন সহজলভ্য, মানসম্মত এবং নির্ভরযোগ্য হয়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়ে আমরা গর্বিত এবং সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের অঙ্গীকারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এই অষ্টম বর্ষপূর্তির অংশ হিসেবে আগস্ট মাস জুড়ে প্রাভা হেলথ বিশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা-সহ বিভিন্ন সেবায় আকর্ষণীয় ছাড় দিচ্ছে, যা মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করার তাদের প্রচেষ্টার প্রতিফলন।
প্রাভা হেলথ দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে আলাদা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের ‘এক ছাদের নিচে বহুমুখী স্বাস্থ্যসেবা’ মডেলের মাধ্যমে—যেখানে ডাক্তার পরামর্শ, উন্নত মানের ডায়াগনস্টিক, ইমেজিং, বিউটি ও ওয়েলনেস সলিউশন, হোম হেলথ সার্ভিস ও ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা এক জায়গায় প্রদান করা হয়।
বিশেষভাবে, গত আট বছরে প্রাভার ডায়াগনস্টিক সেবা ৩৫টি জেলায় পৌঁছেছে, যা দেশজুড়ে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করছে।
প্রাভা হেলথ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সফলতা অর্জন করেছে। এটি গ্লোবাল ইনোভেটর (২০২৩), টেকনোলজি পায়োনিয়ার (২০২১), ওয়ার্ল্ড চেঞ্জিং আইডিয়া (২০২০) পুরস্কার পেয়েছে; হার্ভার্ড ও কলম্বিয়া বিজনেস স্কুলের কেস স্টাডিতেও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে; এবং ২০২৩ সালে ইওয়াই ও হোগান লভেলস-এর ‘টপ ১০০ মিনিংফুল বিজনেস’ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। এছাড়া, ২০২৪ সালে টিম ফাউন্ড-র গ্লোবাল হেলথ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে।
প্রাভা হেলথের অষ্টম বর্ষপূর্তিতে প্রতিষ্ঠানটি তাদের সেবার পরিধি বাড়িয়ে বিউটি ও ওয়েলনেস সেন্টার এবং হোম হেলথ সার্ভিস চালু করেছে, যা তাদের রোগীকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির উদ্ভাসিত রূপ।