সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর আন্দোলনের ভেতরেই রোববার সন্ধ্যায় ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করল সরকার। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ২০১৮ সালের আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, নতুন অধ্যাদেশে সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলা সংক্রান্ত চারটি আচরণকে ‘অপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
১. অনানুগত্য বা শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী কার্যকলাপ, ২. যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা, ৩. অন্য কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে বাধা বা উসকানি দেওয়া এবং ৪. অন্যদের কর্মবিরতিতে প্ররোচিত করা।
অধ্যাদেশে বলা হয়, এ ধরনের অপরাধে কর্মচারীকে ‘অবনমিত’, ‘চাকরিচ্যুতি’ বা ‘বরখাস্ত’ করার বিধান রাখা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে ‘কারণ দর্শানোর নোটিশ’ দিতে হবে এবং দোষী সাব্যস্ত হলে আরও সাত দিনের মধ্যে ‘কেন শাস্তি দেওয়া হবে না’, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। এর ভিত্তিতেই ‘শাস্তি কার্যকর’ হবে।
এতে আরো বলা হয়, তবে দণ্ডপ্রাপ্ত কর্মচারী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে আপিল করতে পারবেন। যদিও রাষ্ট্রপতির আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ নেই, দণ্ড পুনর্বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করা যাবে।
এই অধ্যাদেশকে কেন্দ্র করে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সংশোধনী প্রত্যাহারের দাবিতে রোববার সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা কর্মবিরতির পাশাপাশি আন্দোলনেরও হুমকি দিয়েছে।