আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্যানেল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, জাসদ ছাত্রলীগ সমর্থিত ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে এক সংবাদ সম্মেলনে ১৫ সদস্যের প্যানেল ঘোষণা করে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা। বাকি ১৩টি পদে প্রার্থী পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে বলে জানান তারা।
পূর্বঘোষিত আংশিক প্যানেল অনুযায়ী, ডাকসুর সহ-সভাপতি ভিপি পদে নির্বাচন করবেন মো. নাইম হাসান (হৃদয়), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নির্বাচন করবেন এনামুল হাসান অনয়, প্যানেলের হয়ে সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে নির্বাচন করবেন অদিতি ইসলাম।
এ ছাড়া, মুক্তিযুদ্ধ ও গণআন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন ফাহমিদা আলম, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক পদে সুর্মী চাকমা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে শাকিব মাহমুদ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে আবদুল্লাহ ইবনে হাসান, গবেষণা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক পদে সানজিদা আহমেদ তন্বি, ছাত্র পরিবহন বিষয়ক সম্পাদক পদে মাসফিকুজ্জামান তাইন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পদে প্যানেল থেকে নির্বাচন করবেন মিনহাজুল ইসলাম ফারহান। আবার প্যানেলের সদস্য পদে নির্বাচন করবেন তর্পিতা ইসলাম অব্ধি, জুনাইদ হোসেন, মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
অন্যদিকে, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের জন্য নাইম-অনয়-অদিতি পরিষদের পক্ষে ১৪টি দাবি উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ) কেন্দ্রীয় সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ। তাদের দাবিগুলো হলো- ১ম বর্ষ থেকে মেধা ও প্রয়োজনভিত্তিক বৈধ সিট নিশ্চিত ও মনিটরিং সেল গঠন, বাণিজ্যিক কোর্স ও বিশ্বব্যাংকনির্ভর ইউজিসির কৌশলপত্র বাতিল; শিক্ষা-গবেষণা ও ছাত্র অধিকার খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, হলে ডাইনিং চালু ও ভর্তুকি চালু; মেডিকেল সেন্টার, বাস, গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন।
এ ছাড়া ৭৩’র অধ্যাদেশ সংশোধন করে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন, নাম-বেনামে বেতন ও ফি বৃদ্ধি বন্ধ করা, শিক্ষা ও চিকিৎসাকে ব্যবসামুক্ত করা, বেসরকারিকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ ও সাম্প্রদায়িকীকরণ রুখে বিজ্ঞানভিত্তিক, সেক্যুলার, গণতান্ত্রিক শিক্ষানীতি প্রণয়ন, শিক্ষা শেষে কর্মসংস্থান বা বেকার ভাতা নিশ্চিত করা, ধর্ম, জাতি, লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য ও অপতৎপরতা নিষিদ্ধ করা, সাম্প্রদায়িক-সন্ত্রাসী সংগঠন বাদ দিয়ে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে পরিবেশ পরিষদ সক্রিয় করা, বন্দর হস্তান্তর, মানবিক করিডোর, নন-ডিসক্লোজার চুক্তি বাতিল করা, নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ, শ্রমিক-কৃষকসহ গণমানুষের আন্দোলনে সংহতি এবং মুক্তিযুদ্ধ ও ২৪’র গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় সাম্য, মর্যাদা ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হওয়া।