কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ মাঝপথে যাত্রীসহ ১৯টি বগি রেখে চট্টগ্রামে চলে গেছে। এই ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও যাত্রীরা শিকার হন চরম ভোগান্তির।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, ওই ট্রেনের ইঞ্জিন হঠাৎ করে বাফার হুক ও হোস পাইপ ভেঙে যাওয়ার ফলে ইঞ্জিনটি বগিগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে করে ইঞ্জিনটি একাই চট্টগ্রামের দিকে চলে যায়, আর যাত্রীসহ ১৯টি বগি মাঝপথেই রেললাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কমলমুন্সির হাট স্টেশন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। রাত ১১টা পর্যন্ত বগিগুলো সেখানেই আটকে ছিল। পরে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থেকে একটি উদ্ধারকারী ইঞ্জিন পাঠানো হয়।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’-এর বগি বিচ্ছিন্ন হলেও ট্রেনচালক বিষয়টি না বুঝেই ইঞ্জিনটি নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে এগিয়ে যান, আর বগিগুলো রেল লাইনে পড়ে থাকে।
পটিয়া রেল স্টেশনের মাস্টার মোহাম্মদ পাভেল জানান, উদ্ধারকারী ইঞ্জিন এসে পৌঁছানোর পর যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়।
গত ২৬ জুলাইয়ে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’-এ একই রকম ঘটনা ঘটে। সেদিন ট্রেনের গার্ড ব্রেক বগির হুক ভেঙে গিয়ে সেটি মূল ট্রেন থেকে আলাদা হয়ে পড়ে। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার গোমদণ্ডী স্টেশন এলাকার ওই দুর্ঘটনায় ট্রেনটি প্রায় ৩০ মিনিট আটকে ছিল। পরে বিচ্ছিন্ন বগিটি রেখে বাকি ট্রেনটি চট্টগ্রামের দিকে রওনা দেয়।
এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে রেলওয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি, সেবার মান ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন যাত্রীরা।