নানা ফতোয়া দিয়ে দেশে ধর্মের নামে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলের দরবারে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি কবর থেকে মরদেহ তুলে পোড়ানোর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মাজার ভাঙা ও লাশ পুড়িয়ে দেওয়া রাসুলের শিক্ষা নয়। নানা ফতোয়া দিয়ে ধর্মের নামে বিভাজন করা হচ্ছে।’
শনিবার সকালে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশে নৈরাজ্য চলছে, তৌহিদী জনতার পেছনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। বিএনপির আমলে যেমন শেখ হাসিনা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চক্রান্ত করেছিল, আবারও সেরকম কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, অন্তবর্তীকালীন সরকারকে তা খুঁজে বের করতে হবে।’
দেশে এখন হঠাৎ করে দেশে নৈরাজ্য কেন বাড়ছে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান আমলেও মাজার আক্রমণ করা বা লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা শোনা যায়নি।’
শুক্রবার গোয়ালন্দ পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে নুরাল পাগলের দরবারে হামলা চালায় তৌহিদী জনতা, দরবারের ভেতরে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। পরে হামলাকারীরা নুরাল পাগলের মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজ আমরা গণতন্ত্রের কথা বলি, রাষ্ট্রীয় চেতনার কথা বলি- অথচ পৃথিবীর ইতিহাসে আরবের সেই মহামানব নিদর্শন হয়ে আছেন। কিন্তু আমরা তার শিক্ষা গ্রহণ না করে নিজেদের ধর্ম ও ইসলামকে বিভিন্ন ফেরকা, বিভাজন ও নানা ধরনের কথাবার্তায় বিভক্ত করছি। অথচ আমাদের মহানবী ছিলেন ঐক্যের প্রতীক।’
মহানবীর ব্যক্তিত্ব ও চারিত্রিক গুণাবলি ছিল অনুসরণের মতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি তা সামান্যতমও অনুকরণ ও লালন করতাম, তবে এ দেশে অন্যায়-অপরাধ, কুপ্রবৃত্তি, পাপাচার, হানাহানি ও রক্তারক্তি অনেক আগেই বন্ধ হয়ে যেত।’