মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: সিরিজ জয় উৎসর্গ হতাহতদের

টাইমস স্পোর্টস
2 Min Read
এক ম্যাচ হাতে রেখে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানকে লো স্কোরিং কিন্ত হাই ভোল্টেজে এক ম্যাচে ৮ রানে হারিয়ে প্রথমবার তাদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। এক ম্যাচ হাতে রেখে পাওয়া এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেলেন লিটন দাসরা। দারুণ সাফল্যের এই সিরিজ জয়টা লিটনরা উৎসর্গ করেছেন উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের উদ্দেশ্যে। 

মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জাকের আলী অনিকের ৪৮ বলে ৫৫ রানের ইনিংসে ১৩৩ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। ছোট এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তানজিম সাকিব-শরীফুল ইসলামের দারুণ বোলিংয়ে ১৫ রানেরি প্রথম পাঁচ উইকেট হারায় পাকিস্তান। যদিও সেই ধস পাকিস্তান কাটিয়ে ওঠে ফাহিম আশরাফের ৩২ বলে ৫১ রানের ইনিংসে। যদিও শেষ পর্যন্ত বৃথা গেছে এই বাঁহাতি ব্যাটারের ফিফটি। মোস্তাফিজুর রহমানের শেষের ঝলকে ৮ রানের জয় নিয়ে  মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। 

রোমাঞ্চ ছড়িয়ে সিরিজ জিতে ম্যাচ প্রেজেন্টেশনে লিটন বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে সেটা সব বাংলাদেশির জন্যই হৃদয়বিদারক মুহূর্ত। এই সিরিজজয় সম্পূর্ণভাবে উৎসর্গ করছি নিহতদের এবং তাঁদের পরিবারকে। আমরা জানি, হারানো জীবনগুলো আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়, কিন্তু অন্তত আমাদের পক্ষ থেকে এই জয় তাঁদের জন্য উৎসর্গিত।’

ম্যাচ সেরা হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা জাকেরও কথা বলেছেন, মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি নিয়ে। এই উইকেটকিপার ব্যাটার জানিয়েছেন, দেশের বাকি মানুষের মতো তারাও মানসিকভাবে কঠিন সময় পার করেছেন এই দুর্ঘটনার প্রভাবে। 

ভারী বুক নিয়েই দলের সকলে সোমবার দিনটা কাটিয়েছেন জাকেররা, ‘আসলে জিনিসটা কঠিন ছিল। গতকাল বুক ভারী নিয়েই কাটাতে হয়েছে। আসলে এরকম মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কারোই কাম্য নয়। সবার জন্য দোয়া। ঐ সময় দোয়া করেছি। যারা নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আরা যারা বেঁচে আছেন তারা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান। আসলে দল হিসেবে এই জিনিসটা সবার জন্য টাফ ছিল, সবার মন খারাপ ছিল। আমরা প্রফেশনাল, মাঠে নামতে হবে। আমরা সবকিছু ভুলে মাঠে নেমে আমাদের বেস্ট এফোর্টটা দেয়ার চেষ্টা করেছি।’

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির ছোঁয়া ছিল আজ মিরপুর স্টেডিয়ামেও। হতাহতদের সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন সবাই। দুই দলের ক্রিকেটারম, ম্যাচ অফিসিয়াল ও ধারাভাষ্যকাররা ধারণ করেন কালো আর্ম ব্যান্ড। জাতীয় পতাকা দিন ব্যাপী ছিল অর্ধনমিত। মাঠে বাজেনি কোনো মিউজিকও। 

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *