রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে নিহতদের মধ্যে দুই জনের দাফন বরিশাল ও কুষ্টিয়ায় সম্পন্ন হয়েছে।
মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী সামিউল করিমের জানাজা মঙ্গলবার সকালে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল স্কুল মাঠে সম্পন্ন হয়।
তার জানাজায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ নানা পেশার মানুষ অংশ নেন। জানাজার পর সামিউলকে তার নানার বাড়ি দেশখাগকাটা গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
সামিউলের নানা রেজাউল করিম শামীম জানাযার আগে দোয়া চাইতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে আদরের নাতিকে হারালাম, সরকারের কাছে আবেদন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান চালানো উচিত নয়।’
অন্যদিকে, নিহত রজনী ইসলামের জানাজা মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সাদিপুর গ্রামে সম্পন্ন হয়। তার জানাজায় দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল হাই সিদ্দিকী, হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী এবং এলাকার হাজারো মানুষ অংশ নেন।
রজনী সোমবার মেয়ে ঝুমঝুমকে স্কুল থেকে আনতে গিয়ে তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন। ঝুমঝুম মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
নিহতের স্বামী জহুরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার সময় তিনি চট্টগ্রামে ব্যবসার কাজে ছিলেন এবং খবর পেয়ে দ্রুত ঢাকায় ফিরেন।
তিনি বলেন, ‘মেয়েকে আনতে গিয়ে রজনী যে আর ফিরবে না, তা কখনও কল্পনা করিনি।’
সোমবার দুপুর ১টার কিছু পরে বিমান বাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ নিয়োজিত যুদ্ধবিমান উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়।
এ ঘটনায় অন্তত ৩১ জন নিহত এবং দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবক আহত হয়েছেন।
মর্মান্তিক এই ঘটনার পর মঙ্গলবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার।