বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল যেন একের পর এক ব্যস্ত সময় পার করছে। গেল জুলাইয়ের প্রথম দশকে প্রথমবারের মতো নারী দলের এএফসি এশিয়ান কাপ নিশ্চিত করার পর দেশের মাটিতে তারা তুলে নেয় সাফ অনূর্ধ্ব-২০ এর শিরোপা। সেই শিরোপার রেশ কাটতে না কাটতে এবার অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়েও এশিয়ান পরীক্ষার সামনে বসতে যাচ্ছে আফঈদারা।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে আজ (শনিবার) দুপুর ১.৩০ ঘটিকায় থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করেন আফঈদারা। থাইল্যান্ডে বিমান প্রায় ঘন্টাখানেক বিরতি নেবার পর পুনরায় বাংলাদেশ দলের মূল গন্তব্য লাওসের উদ্দেশ্যে পুনরায় যাত্রা শুরু করবে।
লাওসে ৫ দিন ব্যাপী এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব চলবে, যেখানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়া, স্বাগতিক লাওস ও তিমুরলেস্তে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে সরাসরি এশিয়ান কাপের টিকেট মিলবে কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়া থাকাবস্থায় গ্রুপের শীর্ষস্থানে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করাটা বেশ কঠিন হবে বাংলাদেশের জন্য। এই পর্বে মোট ৩৩টি দল আটটি গ্রুপে ভাগ হয়ে অংশ নিচ্ছে। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দল এবং দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেরা তিনটি দল পাবে এশিয়ান কাপে খেলার সুযোগ। অর্থাৎ দক্ষিণ কোরিয়াকে পেছনে ফেলতে না পারলেও যদি বাকি ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশ নিজের জাত চেনাতে পারে তবে অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়েও থাইল্যান্ডে এএফসি এশিয়ান কাপ খেলতে পারবে আফঈদারা।
বাংলাদেশের জন্য এ বাছাইপর্ব যাত্রা শুরু হচ্ছে ৬ই আগস্ট স্বাগতিক লাওসের বিপক্ষে। ৮ আগস্ট পূর্ব তিমুরলেন্তে আর ১০ আগস্ট দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবেন বাংলাদেশের মেয়েরা। পিতার বাটলার চাইবেন তার শিষ্যরা প্রথম দুই ম্যাচ জিতে একটা শক্ত অবস্থান নিয়ে বাছাইপর্ব শুরু করুক। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি হবে বাটলারের মূল দলের জন্য অগ্নিপরীক্ষা। সব মিলিয়ে লাওস থেকে ভাল কিছু নিয়ে ফিরে আসতে চান বাটলারের শিষ্যরা।