চতুর্থ দিনের শুরুতে লিটন দাসের দারুণ দুটো ক্যাচে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কুশাল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে লড়াইটা জমিয়েই তুলেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। মিলান রথনায়েকের ক্যাচটা তাইজুল ইসলাম ধরতে পারলে সকালটা আরো রঙিন হতো বাংলাদেশের। তবে দারুণ এই শুরুর পর লাঞ্চ সেশনে যেতে যেতে হতাশই হতে হলো নাজমুল হোসেন শান্তদের।
কামিন্দু মেন্ডিস আর মিলান রথনায়েকের ৭৯ রানের জুটিতে লিডের পথে এগোচ্ছে শ্রীলংকা। ৬ উইকেটে ৪৬৫ রান তুলে লাঞ্চ ব্রেকে গিয়েছে তারা, বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে ৩০ রানে।
গল টেস্টের চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেও বেশ ভালো গতিতে রান তুলেছে শ্রীলংকা। ৩১ ওভারে ৯৭ রান তুলে হারিয়েছে দুই উইকেট। এই দুই উইকেটই বাংলাদেশের সাফল্য। দিনের তৃতীয় ওভারে স্পিনার নাঈম হাসানের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন লংকান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া। এর পাঁচ ওভার পর কুশাল মেন্ডিসের উইকেট নেন হাসান মাহমুদ।
অবশ্য হাসান কেবল বলটাই করেছেন, কুশালের উইকেটের কৃতিত্ব দিতে হবে লিটনকে। ইনিংসের ১০১ তম ওভারে হাসানের করা শেষ বলটা লেগ স্টাপের বাইরে দিয়ে বেরই হয়ে যাচ্ছিল। কুশাল চাইলে ছেড়েও দিতে পারতেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে খেলতে গিয়ে ব্যাটে ভালোমতো না লেগে বরং কানা ছুঁয়ে বেরিয়ে যায় বল। দারুণ এক ডাইভে সেই ক্যাচ ধরেন লিটন।
এরপর অবশ্য আরো একটা সুযোগ তৈরি করেন স্পিনার তাইজুল। কিন্তু নিজের বলে ফিরতি ক্যাচ ধরতে না পারায় জীবন পেয়ে যান মিলান। অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। মাথার ওপর ওঠা বল লাফিয়েও হাতে রাখতে পারেননি তাইজুল।
কামিন্দু মেন্ডিস পেয়েছেন নিজের পঞ্চম ফিফটি। ১৩৯ বলে ৮৩ রানে অপরাজিত থেকে লাঞ্চ ব্রেকে গেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার, মিলান লাঞ্চ ব্রেকের পর খেলা শুরু করবেন ৩৮ রান নিয়ে।