মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আবু সাঈদ ও মুগ্ধসহ অভ্যুত্থানে নিহতের প্রকৃত তালিকা প্রকাশ করে তাদের ‘জাতীয় শহীদ’ হিসেবে ঘোষণার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
সোমবার এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেয়।
এর আগে মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতীয় সংস্কারক ঘোষণা, ২৪-এর অভ্যুত্থানে নিহতদের প্রকৃত তালিকা প্রকাশ ও তাদের জাতীয় শহীদ হিসেবে ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ইমদাদুল হক ফেব্রুয়ারিতে রিটটি করেন।
রুলে জনপ্রশাসন সচিব, প্রতিরক্ষা সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব এবং অর্থ সচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন, আইনজীবী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
পরে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশের হাল ধরার জন্য সাহস করে এগিয়ে এসেছেন মুহাম্মদ ইউনূস। ক্ষমতায় আসার পর উনি বলেছেন দেশটাকে বিনির্মাণ করে নতুন রাষ্ট্র গঠনে সংস্কারের পথে এগিয়ে নিয়ে যাব। সে লক্ষ্যে তিনি বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করে দিয়েছেন।’
বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য সংস্কারে হাত দেওয়ার প্রেক্ষিতে দেখলাম, এই প্রথম তিনি জাতীয় সংস্কার ও দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য এবং উনি নিজেই বলেছেন মালয়েশিয়া বা অন্যান্য উন্নত জাতির সঙ্গে তুলনা করার জন্য কাজ করতে চান, যোগ করেন তিনি।
এই আইনজীবী আরও বলেন, একমাত্র ফ্যাসিস্ট সরকারের দল ছাড়া সবাই ঐকমত্যের ভিত্তিতে তাকে সমর্থন করেছে।
তিনি বলেন, ‘মতামত নিয়েই সংস্কার কমিশন গঠন করে তিনি (মুহাম্মদ ইউনূস) সংস্কার কাজে হাত দিয়েছেন। ইতোধ্যে অনেক সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছেন। তার সংস্কারের বিষয়গুলোতে একমত পোষণ করে তাকে আমরা জাতীয় সংস্কারক হিসেবে ঘোষণা চেয়ে রিটটি করা হয়।’