ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রত্যাঘাতে ‘অপারেশন বুনিয়ান উন মারসুস (অভেদ্য দুর্গ)’ নামে দেশটির বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্রের দাবি, শনিবার ভোরে শুরু হওয়া এই অভিযানে ভারতের সাতটি কৌশলগত স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—পাঠানকোট বিমানঘাঁটি, উদমপুর বিমানঘাঁটি, গুজরাট ও রাজস্থানের বিমানঘাঁটি এবং ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণস্থল।
আল জাজ়িরা জানিয়েছে, ‘বুনিয়ান উন মারসুস’ একটি আরবি শব্দবন্ধ। এর অর্থ ‘শিসার তৈরি কাঠামো’। কোরানের একটি আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ তাদেরই ভালবাসেন, যারা যুদ্ধের ময়দানে তার দেখানো পথে লড়াই করেন, শিসার তৈরি শক্ত কাঠামোর মতো।’ ‘বুনিয়ান উন মারসুস’ নামটি এই আয়াত থেকে নেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের সরকারি বার্তা সংস্থা এপিপি জানিয়েছে, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে দেশটি এই পাল্টা ‘অপারেশন বুনিয়ান উন মারসুস’ চালিয়েছে। শুক্রবার রাতেও ভারত পাকিস্তানের ভেতরে তিনটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ অধিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নূর খান বিমানঘাঁটি (রাওয়ালপিন্ডি), মুরিদ ঘাঁটি (চকওয়াল) এবং শোরকোট বিমানঘাঁটি লক্ষ্য ছিল।
তিনি বলেন, ‘তবে আল্লাহর রহমতে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর (পিএএফ) সব উড়োজাহাজ, বৈমানিক ও অন্যান্য সম্পদ অক্ষত রয়েছে।’
ভারতের উদ্দেশ্যে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, ‘এখন শুধু আমাদের জবাবের জন্য অপেক্ষা করুন।’
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘ভারত আফগানিস্তানেও ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে।’
তার ভাষায়, ‘ভারতের এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে ফেলেছে। তবে পাকিস্তান ভয় পাবে না—আমরা সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করব।’
এর আগে, বৃহস্পতিবার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, বুধবার রাতে পাকিস্তান ও আজাদ জম্মু-কাশ্মীরে ভারতের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ‘বেসামরিক নাগরিক’ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ ও আহত ৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
গত মাসে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহেলগামে এক বন্দুক হামলায় ২৬ জন নিহতের জেরে পাকিস্তানে ওই হামলা চালায় ভারত।