যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত পাল্টা শুল্ক সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ আরও ১০০ মার্কিন পণ্য শুল্কমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও বাংলাদেশ থেকে পাঠানো এসব প্রস্তাবসহ চিঠির জবাব এখনও মেলেনি।
বাংলাদেশ বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বিদ্যমান ১৯০টি পণ্যের পাশাপাশি আরো ১০০ মার্কিন পণ্যের ওপর ‘শূন্য আমদানি শুল্ক’ দিতে প্রস্তুত। বাণিজ্য উপদেষ্টা সোমবার মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির কাছে এ বিষয়ে চিঠিটি পাঠিয়েছেন।
সংবাদ সংস্থা বাসস জানায়, মঙ্গলবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা হয়। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন ও অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠির পর সরকার এখনো কোনো সাড়া পায়নি। আমাদের মূল লক্ষ্য হল বাণিজ্য ঘাটতি কমানো বা দূর করা এবং আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।
কোন পণ্যের ওপর জোর দিয়ে বাণিজ্য ঘাটতি কীভাবে কমানো যায় সে সম্পর্কে আমরা বিভিন্ন ধরনের বিশ্লেষণ পরিচালনা করছি। আসলে এটি একটি অত্যন্ত পরিবর্তনশীল বিষয় এবং যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়াও কিছুটা কঠিন। এটি বিকশিত হওয়ার সাথে সাথে আমরা আমাদের কৌশলগুলো ঠিক করব।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ নতুন করে প্রায় ১শ’টি পণ্যের ওপর শূন্য আমদানি শুল্ক আরোপের পদক্ষেপের ফলে আমরা অবশ্যই ইতিবাচক কিছু আশা করছি। আমরা প্রয়োজনীয় কঠোর পরিশ্রম করছি এবং বাণিজ্য ঘাটতি কীভাবে কমানো যায় তা সমাধানের চেষ্টা করছি।’
একই দিন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস একটি চিঠি পাঠিয়ে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের আবেদন তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনুরোধ জানিয়েছেন। যাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে মার্কিন রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির উদ্যোগটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে।
ওদিকে সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদী অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সামগ্রিকভাবে আমরা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছি। আমরা আশা করি তারা আমাদের সাথে সহযোগিতা করবে, যেভাবে আমরা তাদের সাথে সহযোগিতা করছি। সুতরাং, এটি উভয় দেশের জন্যই লাভজনক। আমরা আমাদের সমস্যা তুলে ধরেছি এবং আমি আশা করি এর সমাধান হবে।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত পাল্টা শুল্ক নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইতোমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। এটি উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে। আমরা আশাবাদী এই সমস্যার সমাধান হবে।’