সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ভারতের

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
ময়মনসিংহের হরিকিশোর রায় রোডের বাড়িটি ভাঙা হচ্ছে। ছবি: ফেসবুক

ময়মনসিংহে প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাহিত্যিক সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে ভারত। বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাড়িটি সংস্কার ও পুনর্নির্মাণে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক নয়াদিল্লি।

মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। সেখানে বলা হয়, ‘আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি যে বাংলাদেশের ময়মনসিংহে অবস্থিত প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাহিত্যিক সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষদের বাড়িটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। বাড়িটি তার দাদা বিশিষ্ট সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর ছিল।’

আরও বলা হয়, বাংলার সাংস্কৃতিক জাগরণের প্রতীক হিসেবে ভবনটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে এটি ভেঙে ফেলার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা এবং সাহিত্য জাদুঘর ও ভারত-বাংলাদেশের অভিন্ন সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে এর সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের বিকল্পগুলো খুঁজে দেখা উচিত হবে।

ভারত সরকার সংস্কার ও পুনর্নির্মাণে সহযোগিতার হাত বাড়াতে ইচ্ছুক বলেও দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষদের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মঙ্গলবার তিনি এ আহ্বান জানান।

ময়মনসিংহ শিশু একাডেমি হিসেবে ব্যবহার করা হতো নগরীর হরিকিশোর রায় রোডের প্রাচীন একটি বাড়ি। জীর্ণ ভবনটিতে ২০০৭ সালের পর থেকে আর কোনো কার্যক্রম চালানো যায়নি। পরিত্যক্ত ভবনটি ভেঙে বহুতল ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে শিশু একাডেমি।

হরিকিশোর রায় ছিলেন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া জমিদারবাড়ির জমিদার। তিনি বাংলা শিশুসাহিত্যের অন্যতম পথিকৃৎ উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী, সুকুমার রায় ও সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষ। এ সড়কে প্রাচীন একতলা ভবনটি ১৯৮৯ সাল থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ব্যবহার করা শুরু করে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *