দেশের সঞ্চয়পত্রে নতুন মুনাফার হার কার্যকর হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ রোববার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে নতুন হার ঘোষণার কথা জানায়।
নতুন হার অনুযায়ী, সঞ্চয়পত্রে সর্বোচ্চ মুনাফা হবে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। এতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার কম বিনিয়োগে তুলনামূলক বেশি মুনাফা মিলবে, আর এই সীমার বেশি বিনিয়োগে সুদের হার কম হবে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা অপরিবর্তিত রাখার পাশাপাশি সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হারও কমানো হয়েছে। সরকার বলছে, ঋণ ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব আয় বাড়ানোর কৌশলের অংশ হিসেবেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির মধ্যে এই মুনাফা কমানোর সিদ্ধান্ত মধ্যবিত্ত ও নির্ভরশীল শ্রেণির ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে।
সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন স্কিমে হার হ্রাস পেয়েছে।
পরিবার সঞ্চয়পত্রে এখন ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার কম বিনিয়োগে পাঁচ বছরের শেষে মুনাফা হবে ১১.৯৩ শতাংশ (আগে ছিল ১২.৫০%)। বেশি বিনিয়োগে হার হবে ১১.৮০ শতাংশ (আগে ছিল ১২.৩৭%)।
পেনশনার সঞ্চয়পত্রেও একইভাবে কমেছে মুনাফা- কম বিনিয়োগে ১১.৯৮ শতাংশ এবং বেশি বিনিয়োগে ১১.৮০ শতাংশ।
এছাড়া পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের মেয়াদি হিসাবেও মুনাফার হার কমানো হয়েছে। তবে জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের কিছু বন্ড ও হিসাবের মুনাফার হার অপরিবর্তিত রয়েছে।
আগে কেনা সঞ্চয়পত্রে আগের হারই বহাল থাকবে। তবে মেয়াদ শেষে বা পুনঃবিনিয়োগের সময় নতুন হারে মুনাফা নির্ধারিত হবে। ছয় মাস পরপর সরকার মুনাফার হার পুনর্বিবেচনা করে নতুন হার ঘোষণা করবে।