শেরপুরের নকলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সমন্বয় কমিটির ১৫ জন সদস্য একযোগে পদত্যাগ করেছেন। একই সঙ্গে ৩২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি থেকে পদত্যাগ করা ব্যক্তিরা পুরো উপজেলা কমিটিকেও প্রত্যাখ্যান করেছেন।
মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই পদত্যাগের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়। পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন ৫ জন যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং ১০ জন সদস্য।
যুগ্ম সমন্বয়কারীরা হলেন–মো. মমিনুল ইসলাম আরব, মনিরুল ইসলাম মনির, সিরাজুল ইসলাম সোহাগ, রাশিদুল জামান রাসেল ও জসীম উদ্দীন। সাধারণ সদস্যরা হলেন–মো. দেলোয়ার হোসেন, সোহেল রানা, জাহাঙ্গীর আলম, সোহাগ মোল্লা, আলামিন মিয়া, রতন মিয়া, নাজমুল হাসান, সুমন মিয়া, আরিফ মিয়া ও সাদেকুল ইসলাম শান্ত।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এনসিপির নকলা উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবির আকাশ একজন অযোগ্য, অনাদর্শিক ও সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। এ প্রেক্ষাপটে দীর্ঘ আত্মবিশ্লেষণ শেষে তারা স্বেচ্ছায় ও সম্মিলিতভাবে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন এবং পুরো উপজেলা কমিটিকেও প্রত্যাখ্যান করেছেন। পাশাপাশি দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।
এ বিষয়ে যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. মমিনুল ইসলাম আরব বলেন, ‘প্রধান সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবির আকাশের বিরুদ্ধে শহীদ পরিবারের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতাও প্রশ্নবিদ্ধ। একজন অযোগ্য ব্যক্তির নেতৃত্বে কাজ করা সম্ভব নয় বলেই আমরা সবাই পদত্যাগ করেছি।’
১০ আগস্ট কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের স্বাক্ষরে নকলা উপজেলা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে হুমায়ুন কবির আকাশকে প্রধান সমন্বয়কারী, ১০ জনকে যুগ্ম সমন্বয়কারী ও ২১ জনকে সদস্য করে মোট ৩২ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
তবে কমিটি ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়। অনেকেই কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রথম দিন থেকেই পদত্যাগের গুঞ্জন চলছিল, যা শেষ পর্যন্ত বাস্তবে রূপ নিল।