শিক্ষককে ছুরি মারল স্কুলছাত্রী

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read

রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষককে ছুরিকাঘাতে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই প্রতিষ্ঠানের সাবেক এক ছাত্রীর (১৬) বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার দুপুরে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

দুপুরে ক্লাস শেষে প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে যাচ্ছিলেন বাংলা বিভাগের শিক্ষক মারুফ কারখী। এসময় কলেজের প্রধান ফটকের সামনে প্রকাশ্যে ওই ছাত্রী শিক্ষক মারুফকে  ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর অবস্থায় শিক্ষককে উদ্ধার করে রাজশাহীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়।

২০২৩ সালে ওই ছাত্রীকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এক কিশোরী ‘হেলপ হেলপ’ বলে চিৎকার করতে থাকে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে শিক্ষক মারুফ নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে তার দিকে এগিয়ে যান। তিনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার গলা লক্ষ্য করে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করে ওই কিশোরী।

ঘটনার পর কিশোরীকে আটক করেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

আহত শিক্ষক মারুফ কারখীকে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সিএমএইচের চিকিৎসক।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মারুফ জানান, ‘স্কুল ছুটির পর মোটরসাইকেল নিয়ে আমি প্রধান গেটের দিকে যাচ্ছিলাম। এসময় দেখি চিৎকার করতে করতে মেয়েটি দৌড়ে আসছে। তাকে দেখে আমি ভাবছিলাম, ছিনতাইকারীরা হয়তো তার ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছে। এজন্য হেলপ হেলপ বলে চিৎকার করছে। আমি তাকে না চিনেই দ্রুত এগিয়ে যাই।’

‘আর তখনই সে অতর্কিতভাবে আমার গলা লক্ষ্য করে ছুরিকাঘাত করে। হাত দিয়ে ঠেকাতে গিয়ে গুরুতর জখম হই। পরে সিএমএইচে গেলে গলায় তিনটি এবং হাতে পাঁচটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।’

রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি সূত্র জানিয়েছে, সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় ওই ছাত্রী একজন শিক্ষকের ছবি দিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করত। ওই ফেসবুক আইডি থেকে স্কুলের শিক্ষার্থীদের এবং ক্লাসের মেসেঞ্জার গ্রুপে অশ্লীল ছবি পাঠাত। বিষয়টি জানাজানি হলে তাকে শনাক্ত করা হয়। পরে তার মা-বাবাকেও জানানো হয়। সেসময় বয়স কম হওয়ায় শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ।

তবে অষ্টম শ্রেণিতে ওঠার পরও সে একই কাজ করে। তখন শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ২০২৩ সালে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। বর্তমানে সে আরেকটি স্কুলে লেখাপড়া করছে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গাজিউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।

 

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *