ইরান যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। সেখানে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানি টেলিভিশন গ্রাফিকের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়। যদিও তারা তখনো নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে কিছু বলেনি। এই হামলা এমন এক সময় হয়েছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির সময়সীমা নির্ধারণ করে ঘোষণা দিয়েছিলেন।
যুদ্ধবিরতির সময়সীমার আগে একাধিক ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চার নিহত এবং অন্তত আটজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা ‘মাগেন ডেভিড অ্যাডম’। জরুরি সেবাকর্মীদের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ ইসরায়েলের একটি আবাসিক ভবনে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে কমপক্ষে একজন আটকা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, ইরানের রাজধানী তেহরানের বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোরের দিকে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইরানের আধা-সরকারি তাসনিম সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ খবর জানিয়েছে সিএনএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরানের মধ্যাঞ্চলের আকাশে কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। তেহরানের উপকণ্ঠে মেহরান ও ডিস্ট্রিক্ট ৬ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে নির্দেশনা দিয়েছিল ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এর পরই তেহরানে হামলার খবর পাওয়া গেল।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তেহরানের ডিস্ট্রিক্ট ৭ এলাকার বাসিন্দাদেরও সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। হামলায় সেদিঘি সাবের নামে একজন পরমানু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ঘোষণা করেন, ‘ইসরায়েল ও ইরান পুরোপুরি ও সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।’
তিনি জানান, এই যুদ্ধবিরতি একপর্যায়ে চলমান সংঘাতের অবসানের পথে নিয়ে যাবে।
ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে দুই পক্ষের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য আসেনি।
এর আগে সোমবার, যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের সীমিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ইরান ও ইসরায়েল ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতিতে’ সম্মত হয়েছে। ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বোমা হামলার প্রতিশোধ হিসেবে কাতার মার্কিন সামরিক ঘাটিতে ওই হামলা চালানো হয়।