কাতারে যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত যৌথ বাহিনীর ঘাঁটি আল-উদেইদ ওপরে বিশ্বাসযোগ্য হুমকি রয়েছে। বিবিসি জানায়, এর মধ্যেই কাতারের আকাশসীমায় সাময়িকভাবে সবরকমের বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
বিবিসির সাংবাদিক ফ্যাঙ্ক গার্ডনার বলছেন, ‘কাতারের ঘাঁটিগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্কবস্থায় রাখা হয়েছে। এসব ঘাঁটি সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
কাতারের রাজধানী দোহার বাইরে আল-উদেইদ বিশাল একটি সামরিক ঘাঁটি, যেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্যের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়। এই ঘাঁটিতে ব্রিটিশ সৈন্যরাও রয়েছে।
এদিকে, ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ কাতার সাময়িকভাবে তাদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে। দোহা বলছে, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির আলোকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ইরান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে তারা প্রতিশোধ নিতে পারে।
আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করা ছাড়াও কাতারের বেশ কিছু স্কুল মঙ্গলবার বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, কাতারে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এক ইমেইল বার্তায় জানিয়েছে, ‘সতর্কতার অংশ হিসেবে’ দেশটিতে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
তবে এই সতর্কতার পেছনে নির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেনি মার্কিন দূতাবাস। যুক্তরাজ্যের দূতাবাসও দেশটিতে অবস্থানরত তাদের নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রে ঘাঁটি ও সামরিক উপস্থিতি রয়েছে। কাতারে আল উদেইদ নামের বিমানঘাঁটিতে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে।