যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক হার কমানোয় বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
ওয়াশিংটনে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতায় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করে। এ সংক্রান্ত চুক্তি সইয়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ওইকথা বলেন উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শুক্রবার ফেসবুক পোস্টে এসব কথা জানিয়েছেন।
শেখ বশিরউদ্দীন আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এতেও আমরা প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে থাকব। ফলে মার্কিন বাজারে আমাদের রপ্তানিতে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, তারা আশা করেছিলেন, ওই শুল্কহার ২০ শতাংশের নীচে থাকবে।
হোয়াইট হাউসের এক ঘোষণায় জানানো হয়, ওয়াশিনটনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাণিজ্য নীতি তদারককারী প্রধান সংস্থা ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর)-এর মধ্যে আলোচনার পর শুল্ক বিষয়ক নতুন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত নতুন শুল্কনীতিতে বাংলাদেশের জন্য ২০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হলেও বেশকিছু দেশের জন্য ১০ থেকে ১৯ শতাংশ শুল্ক ঠিক করা হয়েছে।
কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান ও ফিলিপাইনের জন্য ধার্য করা হয়েছে ১৯ শতাংশ শুল্ক। ১৮ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে কেবল নিকারাগুয়াকে।
১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে পণ্য রপ্তানি করবে বেশকিছু দেশ। যার মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, অ্যাঙ্গোলা, বলিভিয়া, ফিজি, তুরস্ক, জিম্বাবুয়ে, ইসরায়েল, জাপান, নরওয়ে, জর্ডান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, পাপুয়া নিউগিনি ইত্যাদি।
আর সবচেয়ে কম অর্থাৎ ১০ শতাংশ শুল্কে পণ্য রপ্তানি করবে ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ, যুক্তরাজ্যসহ অন্য সব দেশ যাদের নাম নতুন এই তালিকায় নেই।
এর আগে গত এপ্রিলে প্রথম শুল্ক পরিকল্পনা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এই ঘোষণা নিয়ে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক খাতে শুরু হয় বিপুল আলোচনা, বাংলাদেশের মতো অনেক দেশই ভুগতে থাকে উৎকণ্ঠায়। বাংলাদেশের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ হলে তা দেশের পোশাক খাতে কেমন প্রভাব ফেলবে, এটি ছিল মূল উদ্বেগের বিষয়।
বিশ্বজুড়ে তুমুল উদ্বেগের মধ্যেই নিজের পরিকল্পনা কিছুদিনের জন্য স্থগিত করেন ট্রাম্প। এই সময়ের মধ্যে দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু করে।