মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশের ‘মাস্তুল’। মোহাম্মদ নূরুজ্জামান পরিচালিত ছবিটিকে ‘স্পেশাল মেনশন’ দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল সিনেমা ক্লাব ফেডারেশন। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) কাজাখস্তানের ফারখেত শারিপভ পরিচালিত ‘ইভাকিউয়েশন’ ছবিটিও একই সন্মাননা পেয়েছে।

রাশিয়ার ৪৭তম এ উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে বাংলাদেশের ‘মাস্তুল’সহ ১৩ দেশের ১৩টি ছবি নির্বাচিত হয়। ২২ এপ্রিল এ ছবির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছে। সে দর্শক সারিতে ছিলেন নির্মাতা নূরুজ্জামান, চিত্রগ্রাহক আরিফুজ্জামান, দুই অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু ও দীপক সুমন।
সমাপনী অনুষ্ঠানের পর রাত ১১টায় ‘মাস্তুলের’ আরেকটি প্রদর্শনী হয়। জাহাজের নাবিক ও তাদের ভাসমান বাস্তবতাকে ঘিরে গড়িয়েছে এ ছবির গল্প। এর প্রায় পুরো দৃশ্যধারণ হয়েছে জাহাজের ভেতর। জাহাজের বাবুর্চির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু। অন্যান্য চরিত্রে আছেন আমিনুর রহমান মুকুল, আরিফ হাসান, সিকদার মুকিত, জুলফিকার চঞ্চল, সিফাত বন্যা, দুলাল ও লিটু মোল্লা। ছবিটির ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশন ও প্রচারে রয়েছে ‘টঙঘর টকিজ’।

নূরুজ্জামান এর আগে ‘আম কাঁঠালের ছুটি’ নির্মাণ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এবার ‘মাস্তুল’ নিয়ে বৈশ্বিক মঞ্চে জায়গা করে নিলেন এই নির্মাতা। পরিচালনা ও প্রযোজনার পাশাপাশি কাহিনি ও চিত্রনাট্য রচনা, সম্পাদনা ও শব্দসজ্জা করেছেন তিনি নিজেই। ছবিটির ইংরেজি নাম ‘বেয়ন্ড দ্য মাস্ট’।
মস্কো উৎসবের উদ্বোধন হয়েছে ১৭ এপ্রিল। আট দিনের এই আয়োজনের সর্বোচ্চ পুরস্কার গোল্ডেন সেন্ট জর্জ ও নেটপ্যাক জুরি অ্যাওয়ার্ড জিতেছে ভারতের প্রদীপ কুর্বা পরিচালিত ‘দি এলিসিয়ান ফিল্ডস’। সেরা পরিচালক হয়েছেন প্রদীপ কুর্বা। রাশিয়ান প্রিমিয়ার প্রতিযোগিতা বিভাগে বিজয়ী হয়েছে আন্তন মাসলাভ পরিচালিত ‘লাইসেন্স টু লাভ’।
এ উৎসবের যাত্রা শুরু ১৯৩৫ সালে। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় প্রাচীনতম চলচ্চিত্র উৎসব। ১৯৫৯ সাল থেকে হয়ে আসছে এ উৎসব। আর ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতিবছর হচ্ছে এ আয়োজন।
মস্কোর ৪৪তম আসরে যুবরাজ শামীমের ‘আদিম’, ৪৫তম আসরে নূরুল আলম আতিকের ‘পেয়ারার সুবাস’ ও ৪৬তম আসরে আসিফ ইসলামের ‘নির্বাণ’ নির্বাচিত হয়। তারও আগে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ডুব’ ও ‘শনিবার বিকেল’ এবং জসীম আহমেদ প্রযোজিত ও ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী পরিচালিত ‘মায়ার জঞ্জাল’ মস্কোতে প্রদর্শিত হয়েছে। এরমধ্যে ‘আদিম’ দুটি বিভাগে ও ‘নির্বাণ’ একটি বিভাগে পেয়েছে পুরস্কার।