ব্রিকসের ‘যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী নীতি’-তে যুক্ত থাকবে এমন দেশগুলোর ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশালে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ‘ব্রিকসের যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী নীতি অনুসরণকারী দেশগুলোর ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এই নীতিতে কোনো ব্যতিক্রম থাকবে না। ধন্যবাদ।’
তবে তিনি ঠিক কোন ধরনের ‘যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী নীতি’র কথা বলেছেন, তা স্পষ্ট করেননি।
এদিকে ব্রিকস সম্মেলন থেকে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে কূটনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যদিও বিবৃতিতে হামলাকারী দেশগুলোর নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি, তবুও সেখানে ১৩ জুন থেকে ইরানের বিরুদ্ধে চলা সামরিক অভিযানের প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওই সময় ইসরায়েল এবং পরে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বেশ কিছু স্থাপনায় হামলা চালায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানের ওপর এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের স্পষ্ট লঙ্ঘন। পশ্চিম এশিয়ায় সৃষ্ট সংকট নিয়েও জোটটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ব্রিকস জানিয়েছে, এ ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক পরমাণু নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তারা এই বিষয়টি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে তোলার আহ্বান জানিয়েছে।
সম্প্রতি ইরানকে নতুন সদস্য হিসেবে যুক্ত করেছে ব্রিকস, ফলে এটি তেহরানের জন্য প্রথম ব্রিকস সম্মেলন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, এই সম্মেলনে ইরান নতুন কৌশলগত মিত্র খুঁজতে পারে।
প্রসঙ্গত, ব্রিকসের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীনের নেতাদের নিয়ে। পরে দক্ষিণ আফ্রিকা এতে যোগ দেয়, এবং গত বছর মিশর, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত নতুন সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।