রাজধানীর নববর্ষ আনন্দ আয়োজনের অনুষ্ঠানকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। র্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান জানিয়েছেন, বর্ষবরণ উপলক্ষে নগরীর প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থলে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘ডগ স্কোয়াড, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা, মোটরসাইকেল ও গাড়িভিত্তিক টহল এবং সাইবার মনিটরিং টিম সক্রিয় রয়েছে।’
তিনি আরও জানান, পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে। সাংস্কৃতিক সংগঠন, জনপ্রতিনিধিরাও শান্তিপূর্ণভাবে বর্ষবরণের উদ্যোগে যোগ দিয়েছেন।
র্যাব প্রধান আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে রমজান, ঈদ, বড়দিন, পূজা, একুশে ফেব্রুয়ারি এবং স্বাধীনতা দিবস নিরাপদে পালিত হয়েছে। এবারও আমরা আশা করি বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ঝামেলামুক্তভাবে সম্পন্ন হবে।’
তিনি আরও জানান, নগরীর বিভিন্ন স্থানে বর্ষবরণের আয়োজনকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে– চারুকলার আনন্দ শোভাযাত্রা, রমনা বটমূল, রবীন্দ্র সরোবর ও হাতিরঝিলসহ প্রতিটি কেন্দ্রে থাকছে নজরদারি।
শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোররাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফে আগুন দেওয়ার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব প্রধান বলেন, ঘটনাটি তদন্তাধীন। যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো গাফিলতি ছিল কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি থেকে থাকে, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সেদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে এটি দুর্ঘটনা নয়, বরং উদ্দেশ্যমূলকভাবেই ঘটানো হয়েছে—এটি আমরা নিশ্চিত।’
আর সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, ‘চারুকলায় ‘ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব’ পুড়িয়েছে হাসিনার দোসররা।’