নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া সময়সূচি অনুযায়ী যথাসময়েই নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।’
শনিবার কুমিল্লায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) ময়নামতি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘টেডএক্স কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ঠিক যে সময়ে বলা হয়েছে, সেই সময়েই হবে। সুন্দর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটি হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা নির্বাচন।’ খবর ইউএনবির।
মুহাম্মদ ইউনূস এটি বারবার বলছেন, আমরা আবারও বলি—নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা নেই। নির্বাচনের জন্য যে পরিবেশ সেটি ঠিক করা হবে এবং সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে। কোনো প্রার্থীই বলতে পারবে না যে, তার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে বা তিনি পরিবেশ পাচ্ছেন না। আমরা পরিবেশ নিশ্চিত করব, যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন পেছানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। নির্বাচন হবে এবং খুব ভালোভাবে হবে।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে সকল রাজনৈতিক দল ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কথা হচ্ছে। অন্যান্য অনেক দেশে এসব বিষয়ে আলোচনা করতেই ২ থেকে ৪ বছর সময় লেগে যায়। সেখানে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো মতপ্রকাশ করছে। এতে করে খুব দ্রুত সময়ে মধ্যে অনেক বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এরপর আমরা আশা করছি, জুলাই সনদও সবাই সই করবে। তারপরই আমরা সবাই নির্বাচনের পরিবেশে ঢুকব। বৃষ্টির এই মৌসুম শেষ হলেই দেখবেন যে বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে, আনাচে কানাচে নির্বাচনের হাওয়া বইছে। অনেক বছর ধরে বাংলাদেশের যুবকরা ভোট দিতে পারেননি।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা ফলও পাচ্ছি। অপ্রীতিকর যেসব ঘটনা ঘটছে, সেগুলো জড়িত প্রত্যেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে আইনও সংশোধন করে— যেমন: ধর্ষণের ক্ষেত্রে— আমরা দ্রুত বিচার করছি।’
গোপালগঞ্জ ইস্যুতে একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যারা সেদিন আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন, যারা সহিংসতায় জড়িত ছিলেন, আমরা সবাইকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। অনেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছেন।’
অনেকেই বলছেন এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। তবে সাংবাদিকদের আমি বলব, আপনারা দেখুন, আমরা সবকিছু আইনানুগভাবে করছি, যোগ করেন তিনি।
‘দ্য নেক্সট ওয়েভ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুবিতে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত ‘টেডএক্স কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি’ অনুষ্ঠানে স্পিকার হিসেবে ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হায়দার আলী, অ্যাসট্রো ফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন, চরকির সিইও রেদওয়ান রনি, লেখক ডেল এইচ খান, গায়ক আসিফ আকবর, সংবাদ উপস্থাপক ফারাবি হাফিজ প্রমুখ।