প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগ থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাওয়ার পথে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় অনেকেই আহত হয়েছেন।
যমুনা অভিমুখে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাধা দিতে ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। তবে সেই ব্যারিকেড ভেঙে শিক্ষার্থীরা সামনে এগিয়ে যেতে থাকলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
দুপুর ২টার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান থেকে পানিও ছোড়া হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে সরে রাজপথে অবস্থান নেন।
এদিকে বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে চার উপদেষ্টার সমন্বয়ে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। ওই কমিটিতে আন্দোলনকারীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা হবে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির।
এর আগে তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করেন তারা। শিক্ষার্থীদের স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে শাহবাগ এলাকা। বুধবার সকালে তারা পূর্বঘোষিত ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগের মূল সড়ক অবরোধ করেন।
এর ফলে শাহবাগ এবং আশপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়, যার ফলে সাধারণ মানুষের চলাচলে বড় ধরনের ভোগান্তি তৈরি হয়।
প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের মূল দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নামের আগে ‘প্রকৌশলী’ শব্দটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পদোন্নতি দিয়ে নবম গ্রেডে উন্নীত না করা, এবং দশম গ্রেডের চাকরিতে স্নাতক প্রকৌশলীদের সুযোগ দেওয়ার দাবি। এসব দাবি নিয়ে তারা মঙ্গলবারও শাহবাগে পাঁচ ঘণ্টা অবস্থান করেছিলেন।