এবারের দুর্গাপূজা গতবারের চেয়ে নিরাপদ, নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার বিকালে রাজধানীর রমনা কালী মন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘এ বছর পূজামণ্ডপের সংখ্যা গতবারের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে। তা ছাড়া সরকারি অনুদানও গত বছরের চেয়ে এক কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে।’
গত বছর দুর্গাপূজার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে চার কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছিল, এবার তা বৃদ্ধি করে পাঁচ কোটি টাকা করা হয়েছে, যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এরপরও দুর্গাপূজা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজনের জন্য কোনো প্রয়োজন হলে, সরকারের পক্ষ থেকে তা মেটানো হবে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের মেয়াদকালে দুর্গাপূজায় প্রতিবছর মাত্র দুই কোটি টাকা করে অনুদান দেওয়া হতো।’
দুর্গাপূজা উপলক্ষে কোনো ধরনের হুমকি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পূজা নির্বিঘ্নে উদযাপনের জন্য বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনের জন্য ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পূণ্যার্থী, দর্শনার্থী, পূজা উদযাপন কমিটি ও সাধারণ জনগণের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন।’
এ ছাড়া, পূজার সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য একটি অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) চালু করা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এই অ্যাপের মাধ্যমে কোনো ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা সরকারের কাছে চলে আসবে। মোদ্দাকথা, দিনরাত ২৪ ঘণ্টা পূজা মনিটরিং করা হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘দুর্গাপূজা একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এ পূজায় শুধু হিন্দু ধর্মালম্বী নয়, অন্যান্য ধর্মের লোকজনও পূজা দেখতে আসে। তাই সকলে মিলে এর পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে।’
ব্রিফিংয়ে রমনা কালী মন্দিরের সভাপতি অপর্ণা রায় দাস, সাধারণ সম্পাদক মিল্টন বৈদ্য, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এস এম তরুণ দে, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফন্ট্রের সাধারণ সম্পাদক সমীর বসু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।