থমথমে পরিবেশ গোপালগঞ্জে

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
গোপালগঞ্জের রাস্তায় এখন মানুষের চলাচল খুব কম। ছবি: অনিক রহমান/টাইমস

কারফিউ শিথিলের পর গোপালগঞ্জে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। সেখানে কার্যত স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরু হয়নি। জেলার সর্বত্র থমথমে পরিবেশ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ রাস্তায় বের হচ্ছেন না, যানবাহন চলছে সীমিত পরিসরে।

স্থানীয় জেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শনিবার রাতে ১৪৪ ধারা জারি করে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে জেলার যেকোনো স্থানে যেকোনো ধরনের সভা, মিছিল বা জনসমাবেশ করা যাবে না এবং একসঙ্গে একাধিক লোক ঘোরাফেরা করাতেও বিধিনিষেধ থাকবে।

তবে, পরীক্ষার্থী, শিক্ষার্থী, জরুরি সেবা ও সরকারি অফিস ১৪৪ ধারার আওতামুক্ত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এর আগে, ১৬ জুলাই এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে জেলার বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন নিহত হন। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

স্থানীয় সূত্র ও প্রশাসনের দাবি, এ হামলায়  জড়িত ছিল আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষের জেরে গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া ও কাশিয়ানী থানায় তিন হাজারের বেশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আসামি করে চারটি মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অন্তত ৩০৬ জনকে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে অনেকেই ঘর ছেড়েছেন।

এনসিপির সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলে বুধবার দুপুরে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। এরপর পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে ওই দিন সন্ধ্যা ছয়টা থেকে জেলায় কারফিউ জারি করা হয়।

পরদিন ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী গোপালগঞ্জে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রথম দফায় কারফিউর সময়সীমা বাড়িয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কার্যকর রাখার ঘোষণা দেন। তবে ওই দিন বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হয়।

শুক্রবার রাতে দ্বিতীয় দফায় কারফিউয়ের মেয়াদ বাড়িয়ে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করা হয়। পরে রাত ১১টায় জেলা প্রশাসন ঘোষণা দেয়, শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।

টানা কারফিউয়ের পাশাপাশি সেনা-পুলিশের টহল এবং গ্রেপ্তার অভিযানে কার্যত গোপালগঞ্জে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফেরেনি। উদ্বেগ-উৎকন্ঠা সকলের মাঝে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *