রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রণীত ডিটেইল এরিয়া প্লান (ড্যাপ) বাতিলসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট।
সংগঠনটির বাকি দাবিগুলো হলো-রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আইনের সঠিক ও যৌক্তিক বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল ও সহজলভ্য ভূমি ব্যবহার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা; প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট সব দুর্যোগের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে দুর্যোগ সহনীয় একটি অংশগ্রহণমূলক ও হালনাগাদ মৌজা ভিত্তিক ড্যাপ তৈরি এবং তা প্রতি পাঁচ বছর অন্তর পর্যালোচনা ও পরিচালনা করা এবং এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতির যথাযথ সংযোজন নিশ্চিত করা্
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরেন ইনস্টিটিউটের সভাপতি স্থপতি আবু সাইদ এম আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান ড্যাপের মতো নীতিমালাগুলো ঢাকা শহরের বাসযোগ্যতা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও পরিবেশগত ভারসাম্যকে হুমকির মুখে ফেলছে।’
আবু সাইদ এম আহমেদ বলেন, ‘আমরা বহুদিন ধরে রাজউকের দ্বারে ঘুরেও কোনো প্রতিকার পাইনি, তাই জনগণের দাবি ও অধিকার তুলে ধরতে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়েছি। জনদুর্ভোগ এড়াতে, ভবিষ্যতের ঢাকা বাঁচাতে, বাসযোগ্য নগর গড়তে এবং নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষের স্বার্থ রক্ষায় আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।’
আমরা বিশ্বাস করি, সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ জনগণই পারে টেকসই, ন্যায্য ও সমৃদ্ধ ঢাকা গড়ে তুলতে। ঢাকাকে বাঁচাতে হলে এখনই দরকার এই ড্যাপ বাতিল করা এবং সংশোধিত জনবান্ধব নতুন কার্যকর ড্যাপ প্রণয়ন করা, যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আইনি ব্যত্যয় প্রকাশিত তথ্যের অপর্যাপ্ততা, প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় কিছু গোষ্ঠীর স্বার্থে তড়িঘড়ি করে ড্যাপ প্রণীত হয়। ফলে এই অস্বচ্ছতা, পরিবেশ বিপর্যয় (কৃষি জমি বিনষ্ট ও প্রাকৃতিক জলাধার ভরাট), ভবন নির্মাণের অসংগতি নির্ভর এই ড্যাপ (২০২২-৩৫) বর্তমানে ভবন নির্মাণ শিল্পে স্থবিরতা সৃষ্টি করেছে।’
ড্যাপ প্রণয়নের পরে গত চার বছরে ঢাকা শহর বাসযোগ্য শহরের তালিকায় ১৩৮ থেকে ১৭১-এ নেমে এসেছে, যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ স্থপতি ইন্সটিটিউটের সদস্যরা অভিযোগ করেন, ‘যেখানে ছোট কোনো শহরের জন্য ড্যাপ রচনা করা হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকার সেখানে ঢাকার জন্য মাত্র ৩০ কোটি টাকার ড্যাপ রচনা করা হয়েছে। এই বৈষম্যের কারণেই সঠিক সার্ভে হচ্ছে না।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ উর রশিদ, পেশাগত বিষয়াদির সেক্রেটারি এম ওয়াহিদ আসিফ প্রমুখ।