আগামী ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শনিবার রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত ‘ক্যাপিটাল মার্কেট ইন বাংলাদেশ: ফিলোসফি অ্যান্ড প্র্যাকটিস’ শীর্ষক আলোচনাসভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষ একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে। গণতন্ত্রে ফেরার একমাত্র পথ হল নির্বাচন। এই নির্বাচন ডিসেম্বরের আগেই হতে পারে। আমরা মনে করি, এত সময় নেওয়ার প্রয়োজন নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেশে কোনো রাজনৈতিক সংকট দেখছি না। মূল বিষয় হল—কীভাবে আমরা দ্রুত গণতন্ত্রে ফিরব এবং একটি জনগণের সরকার গঠন করব। এটি নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার, সংকট নিয়ে নয়।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার ও সংসদ জনগণের কাছে দায়বদ্ধ হবে, জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। এটাই গত ১৬ বছর ধরে জনগণের দাবির কেন্দ্রবিন্দু, এজন্যই তারা ত্যাগ স্বীকার করে এসেছে। সুতরাং এখন আলোচনার একমাত্র বিষয় হওয়া উচিত সেই নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক রোডম্যাপ।’
এ বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি বর্তমান অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে বিএনপির অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এনসিপি প্রধান নাহিদ ইসলাম বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছিলেন, মুহাম্মদ ইউনূস ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে ‘কাজ করতে পারছেন না’। নাহিদ তাকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যমতে না আসে, তাহলে আমি কাজ করতে পারব না।’
নাহিদের মতে, ইউনূস গভীর হতাশায় ভুগছেন এবং রাজনৈতিক শক্তির কাছে ‘জিম্মি বোধ’ করছেন। ‘যদি তিনি সব পক্ষের আস্থা না পান, তবে থাকার মানে কী?’ -বলেন নাহিদ। জাতীয় স্থিতিশীলতার স্বার্থে প্রধান উপদেষ্টাকে তিনি ‘পদত্যাগ না করার’ অনুরোধ জানান বলে দাবি করেছেন।
নির্বাচনের রোডম্যাপের প্রশ্নে সরকারের এমন টানাপোড়েনের ভেতরেই শনিবার দুপুরে একনেকের অনির্ধারিত বৈঠকের পর পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাই থাকছেন। তিনি ‘পদত্যাগের কথা কোথাও বলেন নি’ বলেও জানান ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।
সবশেষ, শনিবার সন্ধ্যায়ই প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন।