আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে একাধিক প্যানেল ইতোমধ্যেই নিজেদের কর্মপরিকল্পনা ও ইশতেহারের প্রকাশ করতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে, নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী প্রচারণা শুরুর আগেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় শুরু করেছে একাধিক প্যানেল।
খসড়া ইশতেহারে তারা আবাসন সংকট নিরসন, হল ও কো-কারিকুলার কার্যক্রমের উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্য নিরাপত্তা, প্রশাসনিক সেবা ডিজিটালাইজেশন, লাইব্রেরি ও শিক্ষার মানোন্নয়ন, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং পরিবহন সুবিধার উন্নয়নের মতো নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুর রহমান খান বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত সমস্যা তুলে ধরে বলেন, ‘কার্জন হল, মোতার হোসেন ভবন, মোকাররম ভবন ও ক্যান্টিনসহ বহু সমস্যা বছরের পর বছর ঝুলে আছে। বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের শিক্ষার্থীরাও ল্যাব, ক্লাস ও ক্যান্টিন সংকটে ভুগছেন। এসব সমাধানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম বলেন, ‘শতবর্ষ পূর্ণ হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো শতভাগ আবাসন নিশ্চিত হয়নি। নির্বাচিত হলে ধাপে ধাপে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য আসন নিশ্চিত করা হবে।’ তিনি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অংশীদারিত্বে আবাসন সমস্যা সমাধানের প্রস্তাবও দেন।
বাগছাস সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের স্লোগান হবে “ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান সিট”। আমরা শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করব এবং গণরুম-গেস্টরুম প্রথা চিরতরে বন্ধ করব।’
একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, নারী শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার বাধাগ্রস্ত করতে ভোটকেন্দ্র দূরে নির্ধারণ করা হয়েছে। তার দাবি, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও কুয়েত মৈত্রী হলের ভোটকেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের পরিবর্তে নিকটবর্তী সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউটে স্থাপন করা উচিত।
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমাও একই দাবি জানিয়ে বলেন, ‘ভোটের দিনে যানজট এড়াতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ও কুয়েত মৈত্রী হলের ভোটকেন্দ্র সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউটে এবং সামসুন্নাহার হলের ভোটকেন্দ্র পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটে সরাতে হবে।’

তিনি আরও জানান, ‘ছেলেদের হল থেকেও ভোটকেন্দ্রের দূরত্ব কমাতে হলে হলপাড়ার ভোটারদের জন্য বিজনেস ফ্যাকাল্টিতে কেন্দ্র নির্ধারণ করা উচিত।’
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ডাকসু নির্বাচনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সংসদে ২৮টি পদের জন্য মোট ৪৬২ জন বৈধ প্রার্থীর মধ্যে ছাত্রী ৬০ জন, যা মোট প্রার্থীর ১৩ শতাংশেরও কম।
এবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মোট আটটি কেন্দ্রে ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।