ট্রেনের প্রথম দিনের ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। রাজধানী ছেড়ে বাড়ির পথে ছুটছে মানুষ। যারা গত ১৪ মার্চ অগ্রিম টিকিট যারা কেটেছিল তারাই গতকাল সোমবার বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রা করছেন।
ঈদযাত্রার প্রথম দিনে স্টেশনে প্রবেশে কাড়াকাড়ি আরোপ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। স্টেশনে টিকিট ছাড়া কোন যাত্রীকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে গেছে বেশিরভাগ ট্রেন। তাই প্রথম দিনে ট্রেনের ঈদযাত্রা ছিল স্বস্তির।
সোমবার সারাদিনে কমলাপুর থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ৪৩টি আন্তঃনগর এবং ২৫টি মেইল ও কমিউটার ট্রেন ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে গেছে। তবে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন সকাল ৮টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি দুই ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকা ছেড়ে যায়। ট্রেনের সময় নিয়ে প্রথমদিনে যাত্রীদের সেরকম অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
কমলাপুর রেলস্টেশন সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, স্টেশনের প্রবেশমুখে যাত্রীদের প্রবেশে বেশ কড়াকড়ি করা হয়েছে। । ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে প্রবেশমুখে, তিন ধাপে চেকিংয়ের পর স্টেশনে প্রবেশ করতে হচ্ছে যাত্রীদের। যাদের টিকিট নেই তাদের স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে স্ট্যান্ডিং টিকিট (আসনবিহীন যাত্রী) কেটে নির্ধারিত ট্রেনে কেউ যেতে চাইলে যেতে পারছেন।
অন্যান্য দিনের তুলনায় কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘরে ফেরা যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। আগেভাগে মানুষজন রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে।
ঈদ যাত্রার সার্বিক বিষয়ে কমলাপুর রেল স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ট্রেনের ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। টিকিট ছাড়া কোন যাত্রীকে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। রেলওয়ে পুলিশ, আরএনবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। যাত্রীদের কোন ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই সকাল থেকে প্রায় বেশিরভাগ ট্রেন সময়মত ছেড়ে গেছে।
এদিকে কমলাপুর রেলস্টেশনের প্রতিটি প্লাটফর্মে যাত্রীদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। আজ মূলত ঢাকা ছাড়ছেন পরিবার-পরিজন, যাদের আগেই ছুটি হয়ে গেছে তারা, ছাত্রসহ নানা ধরনের যাত্রীরা বাড়ির পানে ছুটছেন। অনেকেই আবার পরিবার-পরিজনকে ট্রেনে তুলে দিতে স্টেশনে এসেছিলেন।
বেসরকারি চাকরিজীবী ফাতেমা জামান বলেন, মেয়েকে ট্রেনে তুলে দিতে রেল স্টেশনে এসেছি। আমার ছুটি হবে ২৮ তারিখে তাই আগেভাগেই পরিবার-পরিজনকে পাঠিয়ে দিচ্ছি। ট্রেনের টিকিট পেতে সমস্যা হয়নি অনলাইনে টিকিট কাটতে পেরেছি। স্টেশনে কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি।
রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার অফিস করেই সরকারি প্রতিষ্ঠান ছুটি হয়ে যাচ্ছে, ফলে সেদিন সন্ধ্যার পরে ট্রেনে যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে। একইসঙ্গে ২৬ মার্চ সারাদিন যাত্রীর চাপ থাকতে পারে ট্রেনে।