ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র চার্লি কার্কের মৃত্যুর পর তার ‘টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’ নামক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নিয়েছেন স্ত্রী এরিকা কার্ক। টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ-এর বোর্ড সভায় এরিকাকে নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ঘোষণা করা হয়।
এক্স হ্যান্ডলে দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, চার্লি কার্ক জীবিত থাকার সময়ই এ বিষয়ে আলোচনা করে গিয়েছেন। মৃত্যুর পর প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব তিনি তার স্ত্রীকেই দিতে চেয়েছিলেন।
বোর্ড সদস্যরা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা কোনোভাবেই অপশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করব না কিংবা নতজানু হব না। আমরা এগিয়ে যাব। চার্লি কার্কের পরিশ্রম বৃথা যেতে পারে না।’
গত ১০ সেপ্টেম্বর উটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য রাখার সময় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন চার্লি কার্ক (৩১)। ক্যাম্পাসের একটি ভবনের ছাদ থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যান সন্দেহভাজন হামলাকারী। পরে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ করে ওই হামলাকারীকে শনাক্ত করা হলে তিনি পরিবারের চাপে আত্মসমর্পণ করেন।
পুলিশ জানায়, রাজনৈতিক ঘৃণা থেকে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্রের ওপর ওই হামলা করেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন অভিযুক্ত টাইলার রবিনসন (২২)।

সিএনএনের খবরে বলা হয়, ২০১২ সালে টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ সহ-প্রতিষ্ঠা করেন চার্লি কার্ক। ধীরে ধীরে তিনি এটিকে একটি প্রভাবশালী রক্ষণশীল সংগঠনে পরিণত করেন। রাজনৈতিক জীবনে রিপাবলিক অনুসারী কার্ক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে তরুণদের সংগঠিত করার কাজ করেছেন। কাজেই রিপাবলিকান শিবিরের অতি বিশ্বস্তভাজন হিসেবেও তার সুনাম ছিল।
স্বামীর হত্যার পর প্রথমবার বক্তব্য দিতে গিয়ে এরিকা কার্ক জানান, তিনি তার স্বামীর কাজ এবং প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে যারা আমাকে শুনছেন, আমি তাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আমার স্বামী যে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তা কখনোই শেষ হবে না। আমার স্বামীর মিশন এক মুহূর্তের জন্যও থামবে না।’
৩৬ বছর বয়সী এরিকা কার্ক অ্যারিজোনার স্কটসডেলে বেড়ে ওঠেছেন। তিনি অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে রাজনীতি বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করেন। বাস্কেটবল খেলোয়াড় এরিকা ২০১২ সালে ‘মিস অ্যারিজোনা ইউএসএ’ খেতাব জেতেন।
২০২০ সালে এরিকা ও চার্লি কার্ক বাগদান করেন এবং পরের বছর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুই সন্তান রয়েছে।