জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঘোষণা করেছে ‘সাদি-বৈশাখী-সাজ্জাদ-ইকরা’ প্যানেলের আট দফা ইশতেহার, যেখানে শিক্ষার মান, গবেষণা, নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব ক্যাম্পাসকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অদম্য ২৪’ স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ইশতেহার প্রকাশ করেন প্যানেলের সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী শেখ সাদী হাসান।
ছাত্রদলের ঘোষিত আট দফা প্রতিশ্রুতি হলো-১. আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ও গবেষণা নিশ্চিত করা। ২. শিক্ষাবান্ধব, নিরাপদ, মুক্ত ও বৈচিত্র্যময় ক্যাম্পাস গড়ে তোলা। ৩. পরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা ও খাদ্যের মান উন্নয়ন। ৪. নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ শিক্ষাঙ্গন এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা। ৫. মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। ৬. সুসমন্বিত পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন। ৭. ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে উৎসাহ বৃদ্ধি। ৮. পরিবেশ সংরক্ষণ ও প্রাণিবান্ধব ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা।
শেখ সাদী হাসান বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী ও স্বাধীনচেতনার প্রতীক। ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে এখান থেকে প্রতিবাদের জোয়ার ছড়িয়ে পড়েছিল। ৩৩ বছর পর আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রদল ধারাবাহিকভাবে শিক্ষাবান্ধব ও নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে লড়াই করছে। এই ৮টি অঙ্গীকার শিক্ষার্থীদের আশা ও আকাঙ্খার প্রতিফলন।’
জিএস প্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী বলেন, ‘পরিবহন সংকট সমাধানে নিয়ন্ত্রিত অটোরিকশা ও ইলেকট্রিক কার সংখ্যা বাড়ানো হবে। বাস রুট পর্যালোচনা ও নতুন রুট চালু করা হবে। প্রতিটি বাসে জিপিএস ট্র্যাকার স্থাপন ও মোবাইল অ্যাপ চালু করা হবে। এ ছাড়া বাইসাইকেল-মোটরসাইকেল পার্কিং, ফুটপাত ও অভ্যন্তরীণ রাস্তা সংস্কারের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব যাতায়াত উৎসাহিত করা হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, সদস্যসচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফফান আলী ও অন্যান্য নেতারা।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ২৮ আগস্ট ২৫ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করে, যেখানে ভিপি পদে শেখ সাদী হাসান, জিএস পদে তানজিলা হোসাইন বৈশাখী, এজিএস-পুরুষ পদে মো. সাজ্জাদুল ইসলাম, এজিএস-নারী পদে আঞ্জুমান আরা ইকরাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।