সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ এবং কিছু ক্ষেত্রে বয়সসীমা উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। দাবি আদায়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে ১১ জুলাই রাজধানীর শাহবাগে সমাবেশের ডাক দিয়েছেন তারা।
বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়। এ কর্মসূচির আয়োজন করেন চাকরির বয়সসীমা সংস্কার আন্দোলনের জন্য গঠিত ঐক্য পরিষদের নেতাকর্মীরা।
তারা বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সংস্কারের জন্য গঠিত মুয়ীদ কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষকতা পেশা, তথ্যপ্রযুক্তি খাত, বিচার বিভাগ, কারিগরি খাতসহ বিশেষায়িত কিছু ক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা উন্মুক্ত করতে হবে।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘বিগত সময়ে প্রশ্নফাঁস, দুর্নীতি ও দলীয় নিয়োগের কারণে মেধাবীরা সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাদের জন্য সুযোগ করে দিতে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো প্রয়োজন।’
তারা জানান, ১৬২টি দেশে কমপক্ষে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরিতে প্রবেশ করা যায়। উন্নত দেশগুলোতে ৫৯ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরিতে প্রবেশ করা যায়। সেই হিসেবে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশেও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বিনা দ্বিধায় বৃদ্ধি করা যায়।
এ ছাড়া শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের উদ্যোক্তা হতে উৎসাহ দিতে বিনাসুদে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার দাবিও জানান তারা।
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন আল আমিন রাজু, ইউসুফ জামিল, আল হেলাল, মওদুদ আহমেদ মিঠু, উজ্জ্বল সরকারসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা।