চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় রুবেল (৩৫) নামে এক যুবককে গুলি করার পর কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার গভীর রাতে পদুয়া ইউনিয়নের হারুয়ালছড়ি ইকোপার্ক সংলগ্ন একটি বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহত রুবেল স্থানীয় রফিকুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত রুবেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ মোট নয়টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থলে তার সহযোগী মোরশেদ (২৮) গুরুতর আহত হন। আরেক সহযোগী আজিম গুলির শব্দ শুনে পালিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাত আড়াইটা থেকে ৩টার মধ্যে রুবেল সহযোগীদের নিয়ে ঘরে অবস্থান করছিলেন। এ সময় দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দুর্বৃত্তরা প্রথমে ঘরের বাইরে শর্টগানের গুলি ছোড়ে। শব্দে আজিম পালিয়ে যান। এরপর ঘরে ঢুকে তারা রুবেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে।
মরদেহের সুরতহালে দেখা গেছে, রুবেলের বাম হাতে গুলির আঘাত, গলার বাম পাশে জবাইয়ের চিহ্ন, হাতের কব্জি অর্ধেক কাটা, অণ্ডকোষে আঘাত এবং বাম পায়ে কোপের দাগ রয়েছে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আহত মোরশেদের শরীরেও ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তিনি বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করেছে।
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আজিমকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তিনি কাউকে শনাক্ত করতে পারেননি। কারা এবং কেন এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘রুবেলের বিরুদ্ধে অস্ত্রসহ নানা অপরাধে একাধিক থানায় নয়টি মামলা রয়েছে। সে ছোটখাটো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল।’