গাজীপুরে চোর সন্দেহে শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা

টাইমস ন্যাশনাল
2 Min Read
কারখানার একটি কক্ষ থেকে হৃদয়কে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বের করা হয়। ছবি: সিসিটিভি ফুটেজ
Highlights
  • রোববার পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাসান মাহমুদ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তি ওই কারখানারই শ্রমিক।

গাজীপুরে চোর সন্দেহে কারখানায় এক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার ভিডিও সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়ার পর কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

নিহত শ্রমিক হৃদয় (১৯) টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার শুকতার বাইদ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। তিনি কারখানাটিতে মেকানিক্যাল মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন।

পরে এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা হলেও জড়িত কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। ওই মামলায় রোববার রাতে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, শনিবার ভোরের দিকে গাজীপুর নগরের কোনাবাড়ীতে গ্রিনল্যান্ড লিমিটেড নামের কারখানায় ওই ঘটনা ঘটে।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, হৃদয়কে কারখানার একটি কক্ষের জানালার সঙ্গে রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে খালি গায়ে একটি সোফার ওপর বসিয়ে রাখা হয়েছে। একপর্যায়ে হৃদয়ের মুখ ও নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। তার জিনসের প্যান্টেও রক্তের দাগ লেগে ছিল। এ সময় আশপাশের কয়েকজনকে বলতে শোনা যায়, ‘এত করে পিটানো হইছে, (তারপরও) কিছুই হয় নাই, মরে নাই।’

এ ভিডিওতে আরও দেখা যায়, হৃদয়কে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় একটি কক্ষ থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করছেন কয়েকজন। একজনের হাতে কাঠের লাঠিও ছিল। তখনো পিঠের দিকে হাত মুড়িয়ে মাঝে লাঠি জুড়ে রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ছিলেন হৃদয়।

এ ঘটনায় হৃদয়ের বড় ভাই লিটন মিয়া  কোনাবাড়ী থানায় শনিবার রাতে অজ্ঞানামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

রোববার পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাসান মাহমুদ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তি ওই কারখানারই শ্রমিক।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, হৃদয় ডিউটি শেষে বাসায় না ফেরায় শনিবার বিকেলে তার ভাই লিটন ও মা কারখানার দিকে যান। সেখানে গিয়ে কারখানায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ দেখে জানতে পারেন, চুরির অপবাদ দিয়ে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে। পরে তারা লাশের সন্ধান চাইলে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে আছে বলে জানানো হয়। সেখানেই মরদেহটি শনাক্ত করা হয়।

হৃদয়কে পিটিয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িত সবাইকে শনাক্ত করার দাবি করেছেন কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, এরই মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *