গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৮ ঘণ্টায় নিহত ৯০

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত। ফাইল ছবি
Highlights
  • এই যুদ্ধ গাজার বিশাল অংশ ধ্বংস করে দিয়েছে এবং খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থাও কার্যত ভেঙে পড়েছে। প্রায় ৯০ শতাংশ জনগণ বাস্তুচ্যুত হয়ে তাঁবু ও ধ্বংসস্তূপে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।

 

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৪৮ ঘণ্টায় অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শনিবার (১৯ এপ্রিল) তারা জানায়, হামাসের জিম্মিদের মুক্ত ও অস্ত্রসমর্পণ বাধ্য করতে ইসরায়েল হামলার মাত্রা আরও বাড়িয়েছে। খবর এপি/ইউএনবি’র।

নিহতদের মধ্যে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) গভীর রাতে নিহত ১৫ জন রয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও আছে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, নিহতদের কেউ কেউ ‘মানবিক নিরাপদ অঞ্চলে’ আশ্রয় নিয়েছিলেন।

হামলায় গাজার দক্ষিণে খান ইউনিস শহরে মুয়াসি এলাকায় তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত অন্তত ১১ জন নিহত হন। ইসরায়েল ওই এলাকাকে মানবিক অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেছিল।

এছাড়া রাফাহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় হামলায় আরও ৪ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে একজন মা ও তার কন্যা রয়েছে বলে জানিয়েছে ইউরোপিয়ান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, ছয় সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গাজায় খাদ্য ও অন্যান্য পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, হাজার হাজার শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে এবং অধিকাংশ মানুষ দিনে মাত্র একবেলা খাবার পাচ্ছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে জঙ্গিরা দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রায় এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক। একই সময় তারা একইসঙ্গে ২৫১ জনকে অপহরণও করে। পরে বেশ কয়েকটি অস্ত্রবিরতি ও সমঝোতার মাধ্যমে অনেক জিম্মি মুক্তি পান।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ওই ঘটনার পর ইসরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত ৫১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। নিহতদের মধ্যে বেসামরিক ব্যক্তির পাশাপাশি ও যোদ্ধারাও রয়েছেন।

এই যুদ্ধ গাজার বিশাল অংশ ধ্বংস করে দিয়েছে এবং খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থাও কার্যত ভেঙে পড়েছে। প্রায় ৯০ শতাংশ জনগণ বাস্তুচ্যুত হয়ে তাঁবু ও ধ্বংসস্তূপে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *