দিনের খেলার তখন আরও ৮ ওভার বাকি। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দ্বিতীয় নতুন বলটা তুলে দিলেন পেসার হাসান মাহমুদের হাতে। সেই ওভারেই গল টেস্টের তৃতীয় দিনের সেরা বলটা করলেন এই ডানহাতি পেসার। পাথুম নিসাঙ্কা বোল্ড হলেন তার দারুণ এক ইনসুইংগারে ডাবল সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নিয়ে। তৃতীয় দিন শেষে শ্রীলংকার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩৬৮। বাংলাদেশ থেকে ১২৭ রানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবে শ্রীলংকা।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে ৪৯৫ রানে গুটিয়ে দেয়ার পর দুই লংকান ওপেনার শুরু থেকেই হাত খুলে খেলেছেন। অভিষিক্ত লাহিরু উদারা ব্যক্তিগত ২৯ রানে তাইজুল ইসলামের হাতে ফিরতে ক্যাচে আউট হলেও অন্য প্রান্তে অটল ছিলেন নিসাঙ্কা।
ঘরের মাঠে নিজের প্রথম ও সব মিলিয়ে তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ডানহাতি ওপেনার। ১৩ রানের জন্য প্রথম টেস্ট ডাবল সেঞ্চুরি মিস করেছেন তিনি। ২৫৬ বলে ২৩ চার ও এক ছক্কায় করেছেন ক্যারিয়ার সেরা ১৮৭। এই সেঞ্চুরির পথেই দীনেশ চান্দিমালের সাথে ১৫৭ রানের জুটি গড়েন নিসাঙ্কা। মূলত সেই জুটিতেই ম্যাচের লড়াইয়ে ভালোভাবে ফেরে শ্রীলংকা। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে দিনভর বেশ নির্ভেজালভাবে রান তুলেছেন লংকান ব্যাটাররা।
প্রথম সেশনে ২৭ ওভার ব্যাট করে তিনের বেশি ওভারপ্রতি রান রেটে তুলেছে ১০০ রান। দ্বিতীয় সেশনে ৩৩ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ১৩৩, অর্থাৎ ওভারপ্রতি ৪.০৩ রান। শেষ সেশনেও রানের গতি প্রায় একই ছিল। ৩৩ ওভারে ১৩৫ রান তুলেছে ৪.০৯ রেটে।
বাংলাদেশের বোলাররা সারাদিনে উইকেট ফেলতে পেরেছেন সব মিলিয়ে চারটা। দ্বিতীয় উইকেটে জুটি জমিয়ে তোলা চান্দিমাল ফিরেছেন নাঈম হাসানকে সুইপ করতে গিয়ে লেগ স্লিপে ক্যাচ দিয়ে। বিদায়ী টেস্ট খেলতে নামা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ফিরেছেন পার্ট টাইমার মুমিনুলের বলে। আর সবচেয়ে বড় উইকেট, নিসাঙ্কাকে বোল্ড করে খানিকটা স্বস্তি ফিরিয়েছেন হাসান।