অস্ট্রেলিয়ায় পরিবারের সাথে ছুটি কাটিয়ে সোমবার দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। দেশে ফেরার পরদিনই ক্রিকেটার, কোচিং ও সাপোর্ট স্টাফের সদস্যদের সাথে ‘শেয়ার অ্যান্ড কেয়ার’ নামক প্রোগ্রামে বসেছেন রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে। সেখানেই ক্রিকেটাররা বলেছেন নিজেদের মনের কথা। ক্রিকেট বোর্ডের কাছে তুলে ধরেছেন চাওয়া-পাওয়া, সুযোগ-সুবিধার কমতি ও যাবতীয় সমস্যা।
সকালে শুরু হওয়া এই প্রোগ্রাম শেষ হয়েছে দুপুর ২টার দিকে। লাঞ্চ সেরে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা একে একে বেরিয়ে গেছেন সিলেটের বিমান ধরার তাড়া থাকায়। পরিচালকদের সাথে আরো এক দফায় বৈঠকের পর বেলা ৩টার দিকে বেরিয়ে আসেন সভাপতি বুলবুল। সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন, ক্রিকেটারদের সাথে তাদের আলোচনার বিষয়গুলো নিয়ে।
‘শেয়ার অ্যান্ড কেয়ার’ প্রোগ্রাম নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আজকে আমরা বড় বড় দুটা কাজ করেছি। জাতীয় দলের যারা টোটাল খেলোয়াড়রা আছে, লাল বল-সাদা বলে প্লাস সাপোর্ট স্টাফ যারা আছে, কোচরা যারা আছে, সবাই একত্রিত হয়েছিলাম। আমাদের বোর্ডের ডিরেক্টর যারা আছেন, তারাও ছিলেন। আমাদের প্রোগ্রামটার নাম ছিল শেয়ার এন্ড কেয়ার। আমাদের যে দলটা মাঠে খেলে সেটা একটা দল, যে টিমটা ডাগ আউটে বসে থাকে তারা একটা দল। আর আমরা যারা বোর্ডে বসে কাজ করি, আমরা একটা দল। এই তিন দলের অ্যাকচুয়াল পারফরম্যান্স কী, এ নিয়ে আমরা তাদের আটটা প্রশ্ন করেছিলাম, এরপর তারা আমাদের কাছে ফিরে এসেছে। সেটা আমরা ডেটা অ্যানালাইসিস করেছি, তাদের সাথে শেয়ার করেছি, আরো আমাদের যে ইম্প্রুভমেট এরিয়াগুলো আছে কীভাবে আরো বেটার করতে পারি।’
এই সেশনে ক্রিকেটাররাই সবচেয়ে বেশি সরব ছিলেন বলে জানিয়েছেন বুলবুল। নির্দিষ্ট আলোচ্য বিষয়ের বাইরে গিয়েও মেহেদী হাসান মিরাজ-লিটন দাসরা নিজেদের জায়গা থেকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান বুলবুল বলেন, ‘ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের যে এজেন্ডা ছিল, এজেন্ডার বাইরে গিয়েও প্লেয়াররা লাফিয়ে লাফিয়ে এসে কথা বলেছে মাইক হাতে। এটাই সবচেয়ে আনন্দের ব্যাপার। মনে হচ্ছিল আমরা সবাই একটা টিম। টিম হিসেবে কাজ করতে পারলে আমরা কতটা সামনে এগিয়ে যেতে পারব, সেটার একটা প্রতিচ্ছবি আজকে আমরা দেখতে পেলাম।’