আকস্মিক দুর্ঘটনায় অনেকের কাছে ঈদ উৎসব বিষাদে পরিণত হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে তিন শতাধিক ব্যক্তি ভর্তি হয়েছেন কোরবানি সংশ্লিষ্ট নানা দুর্ঘটনায়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কোরবানির মাংস কাটতে গিয়ে কেউ হাত-পা কেটে ফেলেছেন। কেউ আবার আহত হয়েছেন গরুর লাথি খেয়ে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর কয়েকজন হাসপাতাল ছাড়তে পারলেও আহতদের বেশিরভাগ ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালের বেডেই কাটছে তাদের ঈদের দিন।
শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) জরুরি বিভাগে আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
নিটোরের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. অভিজিৎ চৌধুরী সন্ধ্যায় টাইমস অব বাংলাদেশকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ২০১ জন আহতকে দেখেছি। আরও রোগী অপেক্ষমাণ। ঈদের দিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীর চাপও বাড়তে থাকে। তাদের বেশিরভাগের ক্ষেত্রে গরু কাটতে গিয়ে হাত-পায়ে ইনজুরি হয়েছে। হাত-পা ভেঙে গেছে অনেকের । জরুরি বিভাগে আমরা তিনজন চিকিৎসক সকাল থেকে ননস্টপ চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি।’
ঘরোয়া দুর্ঘটনার বাইরে ঈদের দিন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে অনেকে আসছেন। যাদের বেশিরভাগ মাংস বিতরণে বের হয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।
হাসপাতালের স্টাফরা জানান, আগারগাঁওয়ের মাওলানা ওমর ফারুক সায়েদাবাদে গরু জবাই করতে গিয়ে হাতের তিনটি আঙুল কেটে ফেলেছেন। তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এক্সরে করার পর জটিলতা দেখে স্থানান্তর করা হয়েছে পঙ্গু হাসপাতালে (নিটোর)।
সিরাজগঞ্জের দুলাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি মাটিতে গরু শেয়াতে গিয়ে ডান পা ভেঙে ফেলেছেন। তার পায়ে অপারেশন করা লাগবে। সাভারের লিটন মিয়া গরুর লাথিতে হাঁটুতে ব্যথা পেয়েছেন, হাঁটতে পারছেন না। নিটোরে তাকে নিয়ে পায়ে প্লাস্টার করা হয়েছে। ১৪ দিন পর ফলোআপ করতে বলেছেন চিকিৎসক।
খিলগাঁওয়ের রতন মিয়া গরুর মাংস প্রস্তুত করতে গিয়ে বাম হাতের আঙুলে আঘাত পেয়েছেন, সেখানে সেলাই দিতে হয়েছে।
এরকম শতাধিক রোগী ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগেও চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।