বসুন্ধরা কিংস এরেনায় সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে আজকের ম্যাচে হাফটাইম শেষে বাংলাদেশের এগিয়ে থাকার খবরে যেমন খুশির ঢেউ, ঠিক তেমনই কাদামাখা মাঠে খেলোয়াড়দের লড়াই দেখে উঠছে উদ্বেগের সুর। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেছেন শান্তি মার্ডি। তবে খেলার মান বা কাঠামো নিয়ে সমর্থক ও বিশ্লেষকদের মধ্যে দেখা গেছে হতাশা।
সত্যি বলতে, ফুটবল খেলার ছিটেফোঁটা কিছুই ছিল না প্রথমার্ধে। ছিল শুধু একের পর এক স্লিপ, কাদা, আর পড়ে যাওয়ার দৃশ্য! এমনকি ধারাভাষ্যকাররাও নিজেদের হাসি আটকে রাখতে পারেননি, যখন খেলোয়াড়রা একের পর এক পড়ে যাচ্ছিলেন কাদার ফাঁদে।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, এই কর্দমাক্ত ও নিচু ঘর্ষণের মাঠে খেলার কারণে মারাত্মক ইনজুরির ঝুঁকি! ফুটবলের ভবিষ্যৎ তারকারা এমন কন্ডিশনে যদি বড় কোনো ইনজুরিতে পড়ে যান, তাহলে তা হতে পারে তাদের ক্যারিয়ারেই বড় আঘাত। এমন ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে ম্যাচ চালিয়ে যাওয়া একপ্রকার দায়িত্বজ্ঞানহীনতা।
খেলোয়াড়দের ফিটনেস ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ম্যাচটি বাতিল বা অন্য তারিখে পুনঃনির্ধারণ করাই ছিল বুদ্ধিমানের কাজ। অথচ তা না করে খেলাটা চালিয়ে যাওয়া বড় ভুল মনে করছেন অনেকেই।
হাফটাইমে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও, জয়-পরাজয়ের হিসেবের বাইরে এখন বড় প্রশ্ন মাঠের নিরাপত্তা ও তরুণীদের ভবিষ্যৎ। দ্বিতীয়ার্ধে খেলার চেয়ে যেন ইনজুরি এড়ানোই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে!